জাতীয়

দুদক চেয়ারম্যান হ‌তে পা‌রেন জ্যেষ্ঠ সচিব আবদুল মোমেন

দুর্নী‌তি দমন ক‌মিশ‌নের চেয়ারম্যান হ‌তে পা‌রেন সদ্য পদত্যাগি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মোহাম্মদ আবদুল মোমেন। ব্যক্তিগত কারণ দে‌খি‌য়ে তি‌নি গত ৮ ডিসেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন।

সোমবার (৯ ডিসেম্বর) তার পদত্যাগপত্র প্রধান উপদেষ্টা বরাবর পাঠায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। একই দিন তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হয়েছে বলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সূত্র নিশ্চিত করেছে।

আবদুল মোমেন পদত্যাগপত্রে ‘ব্যক্তিগত’ কারণের কথা উল্লেখ করলেও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানিয়েছে, তিনি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান হতে পারেন। এ জন্যই তিনি জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিবের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।

গত ২৯ অক্টোবর দুদকের চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেন মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ এবং দুই কমিশনার (তদন্ত) মো. জহুরুল হক ও কমিশনার (অনুসন্ধান) মোছা. আছিয়া খাতুন। এর পর থেকে দুদকের চেয়ারম্যান ও দুই কমিশনার পদ খালি রয়েছে। চেয়ারম্যান ও দুই ক‌মিশনার ছাড়া দুদক কার্যক্রমে এক ধর‌ণের অচলাবস্থা তৈ‌রি হ‌য়ে‌ছে। এরম‌ধ্যে সোমবার আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস ২০২৪ উপলক্ষে দুদক আয়োজিত অনুষ্ঠা‌নে আইন উপ‌দেষ্টা দ্রুত সম‌য়ের ম‌ধ্যে দুদক ক‌মিশন গঠ‌নের কথা জা‌নি‌য়ে‌ছেন।

আ‌সিফ নজরুল ব‌লে‌ন, “৫ আগস্টের পরে দুদক একেবারেই নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে। ফলে এখনও ভয়াবহ ধরনের অনিয়ম-দুর্নীতির খবর আমরা পাচ্ছি। এটি আমাদের বন্ধ করতে হবে। এ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত কমিশন দিয়ে হবে না। দুদকের বর্তমান আইনেই নতুন কমিশন নিয়োগ দেওয়ার চিন্তা সরকারের রয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে কমিশন গঠন হবে।”

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় গত ১৭ আগস্ট আবদুল মোমেনকে জ্যেষ্ঠ সচিব পদে পদোন্নতি দিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়। তিনি ১৮ আগস্ট এই পদে যোগদান করেন। গত ১ অক্টোবর তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অতিরিক্ত দায়িত্ব গ্রহণ করেন।