আন্তর্জাতিক

ভারতে কম দামে বিদ্যুৎ বিক্রির জন্য দিল্লির কাছে নতুন সুবিধা চেয়েছে আদানি

দেশে কম দামে বিদ্যুৎ বিক্রির জন্য ঝাড়খন্ডের বিদ্যুৎকেন্দ্রের বেলায় আদানি পাওয়ার লিমিটেড ভারত সরকারের কাছে নতুন সুবিধা চেয়েছে। মঙ্গলবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু এ তথ্য জানিয়েছে।

আদানির এই বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে কেবল বাংলাদেশের কাছে বিদ্যুৎ বিক্রি করা হয়। তবে আগস্টে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরপর উৎপাদিত বিদ্যুৎ ভারতের বাজারে বিক্রির জন্য আদানিকে অনুমতি দেওয়া হয়। তবে এই বিদ্যুৎ দেশীয় বাজারে বিক্রি করতে হলে আদানিকে কর পরিশোধ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে ছাড় চেয়েছে আদানি।

বিজনেস লাইন জানিয়েছে, আগস্টে আদানির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উৎপাদিত বিদ্যুৎ দেশে বিক্রির অনুমতি দেয় ভারতীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়। কিন্তু কেন্দ্রটি একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে অবস্থিত হওয়ায় ভারতে এই বিদ্যুৎ আমদানি পণ্য হিসেবে বিবেচিত হবে এবং তার জন্য কর পরিশোধ করতে হবে আদানিকে। 

একইসঙ্গে বিদ্যুৎকেন্দ্রের আমদানি করা কয়লার ওপর শুল্ক অব্যাহতিরও অনুরোধ করেছে আদানি পাওয়ার। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, এসব সুবিধা না পেলে ভারতের অভ্যন্তরে এই কেন্দ্রের বিদ্যুৎ বিক্রি করা কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়েবে। কারণ, দেশটির গ্রাহকেরা বিদ্যুতের দামের বিষয়ে স্পর্শকাতর, অর্থাৎ দাম বেশি হলে ভারতে বিদ্যুৎ বিক্রি করা কঠিন হয়ে দাঁড়বে।

বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য জানতে চেয়ে ইমেইল পাঠানো হলেও আদানি পাওয়ার লিমিটেড তাতে কোনো সাড়া দেয়নি।

আদানির এই কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ রপ্তানি করা হয়, তা দেশটির বিদ্যুৎ চাহিদার প্রায় ১০ শতাংশ। সেপ্টেম্বর শেষে বিদ্যুৎ বিক্রি বাবদ আদানির পাওনা ৭৯ কোটি ডলারে পৌঁছেছে। আদানির কর্মকর্তারা অক্টোবরে এ তথ্য দিলে পরে বাংলাদেশ সরকার কিছু বকেয়া পরিশোধ করে।

ঝাড়খন্ডের বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে সমস্যা তৈরি হওয়ার পাশাপাশি আদানির জন্য নতুন মাথাব্যথার কারণ এখন মার্কিন অভিযোগ। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের আইনজীবীরা আদানি গ্রুপের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ২৫ কোটি ডলারের বেশি ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ এনেছেন। আদানি এ অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছে, তারা আদালতে বিষয়টি নিয়ে লড়বে।