“রক্ত লাগলে দেব। প্রয়োজনে জীবন দেব। তবু, বাংলাদেশকে ধ্বংস হতে দেব না।”
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) আদালত থেকে হাজতখানায় নেওয়ার পথে উল্লিখিত কথাগুলো বলেছেন শাহ আলম হত্যা মামলার সন্দিগ্ধ আসামি সাইফুদ্দিন অপু। সম্প্রতি প্রেস ক্লাবে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছিলেন সাইফুদ্দিন অপু।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকালে রাজধানীর বাড্ডায় শাহ আলম নামের এক ব্যক্তিকে হত্যার মামলায় মঙ্গলবার সাইফুদ্দিন অপুকে আদালতে হাজির করা হয়। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুর রহমান তার রিমান্ড ও জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। তাকে দুই দিন জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছেন। পরে তাকে আদালত থেকে হাজতখানায় নেওয়া হয়েছে।
সাইফুদ্দিন অপুর সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাড্ডা থানার উপ-পরিদর্শক বজলুর রশিদ। অপুর পক্ষে আইনজীবী খায়ের উদ্দিন শিকদার রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন।
শুনানিতে খায়ের উদ্দিন শিকদার বলেন, “সাইফুদ্দিন অপু সন্দেহভাজন আসামি। তার গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের এ মামলার সঙ্গে তার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। মামলার বাদীও তাকে চেনেন না। সেজন্য আমরা তার রিমান্ড বাতিল করে জামিনের আবেদন করছি।” রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করে।
শুনানি শেষে আদালত রিমান্ড ও জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে সাইফুদ্দিন অপুকে দুই দিন জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন।
গত ১ নভেম্বর প্রেস ক্লাবে সেনাবাহিনী ও পুলিশের সামনে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেওয়ায় হেনস্তার শিকার হয়ে ভাইরাল হন সাইফুদ্দিন অপু। এর পর গত ২১ নভেম্বর শাহ আলম হত্যা মামলার সন্দিগ্ধ আসামি হিসেবে সাইফুদ্দিন অপুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গত ১৮ জুলাই রাত ১০টার দিকে অফিস থেকে বাড়ি ফেরার পথে আওয়ামী ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী ও পুলিশের ছোঁড়া গুলিতে আহত হন শাহ আলম। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে গত ১৩ আগস্ট তিনি মারা যান। এ ঘটনায় নিহতের ভাই বাড্ডা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।