সারা বাংলা

শীতে কাঁপছে দিনাজপুর

ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় কাঁপছে দিনাজপুরের মানুষ। তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় দিন দিন বাড়ছে শীতের প্রকোপ। হিমেল বাতাসের সঙ্গে রাত থেকে সকাল পর্যন্ত কুয়াশায় ঢাকা থাকে পুরো এলাকা। এছাড়াও গত দুই দিন ধরে দেখা মেলেনি সূর্যের। দিনের বেলাও হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন। হাড় কাঁপানো কনকনে ঠাণ্ডায় শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষজন পড়েছে বিপাকে।

মঙ্গলবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আদ্রতা ৯৭ শতাংশ। এ মৌসুমে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১০ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দিনাজপুর আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন। 

তিনি জানান, আজ সকাল ৬টায় দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আদ্রতা ৯৭ শতাংশ। বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১ কিলোমিটার। গতকাল একই সময় তাপমাত্রা ছিলো ১৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আদ্রতা ছিলো ৯৫ শতাংশ। 

তিনি আরো জানান, জেলার আশপাশসহ দেশের অন্যান্য কয়েকটি জেলার আজকের সকাল ৬টার তাপমাত্রা: তেতুলিয়া (পঞ্চগড়)-১২.৯, সৈয়দপুর : ১৪.০, রংপুর: ১২.৮, বদলগাছি (নওগাঁ) ১১.৭, যশোর ১৪.৬, রাজশাহী ১৩.০ এবং শ্রীমঙ্গল (সিলেট) ১২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এদিকে জেলার বিভিন্ন রাস্তায় ঘন কুয়াশায় হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে বিভিন্ন যানবাহনকে। কাজের তাগিদে ঘর থেকে বের হওয়া মানুষ গায়ে জড়িয়েছেন শীতের পোশাক। সন্ধ্যার পর থেকেই মৃদু হিমেল বাতাস পরের দিন সকাল পর্যন্ত বাড়িয়ে দিচ্ছে শীতের তীব্রতা।  

গরম জামাকাপড় পরার পাশাপাশি আগুন জ্বালিয়েও নিজেকে উষ্ণ রাখার চেষ্টা করছেন কেউ কেউ। শীতে জবুথবু হয়েও কাক ডাকা ভোরে অনেক শ্রমজীবী মানুষেরা ঘর থেকে বের হতেও দেখা যায়।