আন্তর্জাতিক

কারাগারে দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর আত্মহত্যার চেষ্টা

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলের সামরিক আইন ঘোষণার বিষয়ে তদন্তের অংশ হিসেবে পুলিশ প্রেসিডেন্ট অফিসে অভিযান চালিয়েছে। বুধবার এই ঘটনাটি ঘটে। এছাড়া, একই দিন সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী কিম ইয়ং-হিউন জেল-হাজতে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন বলে জানা গেছে। এসব ঘটনা দেশটিতে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।  

আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, আজ বুধবার দক্ষিণ কোরিয়ার সংশোধনমূলক পরিষেবার কমিশনার-জেনারেল শিন ইয়ং-হাই সংসদীয় শুনানির সময় আইন প্রণেতাদের জানিয়েছেন, সংশোধনকারী কর্মকর্তারা আত্মহত্যার চেষ্টা করার সময় কিমকে থামিয়েছেন এবং তার অবস্থা স্থিতিশীল।

গত ৩ ডিসেম্বর দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক আইন চাপিয়ে দেয়ার যে ব্যর্থ চেষ্টা হয়েছিল, সেখানে সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী কিম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ৪ ডিসেম্বর প্রতিরক্ষামন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন কিম। 

পরবর্তীতে সিওল সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্ট কোর্টের আদেশে সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী কিমকে বিদ্রোহের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়।  আদালত জানিয়েছে, অপরাধের গুরুতরতা এবং প্রমাণ ধ্বংসের সম্ভাবনার ভিত্তিতে তাকে গেপ্তার কর হয়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ইয়োনহাপ জানিয়েছে, কারাগারেই সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী কিম ইয়ং-হিউন আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তবে তিনি কীভাবে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন এবং কখন খবরে তা উল্লেখ করা হয়নি।

এদিকে কোরিয়ান ন্যাশনাল পুলিশ এজেন্সির কমিশনার জেনারেল চো জি-হো এবং সিউল মেট্রোপলিটন পুলিশ এজেন্সির প্রধান কিম বং-সিককেও বিদ্রোহের অভিযোগে আটক করা হয়েছে।

গত ৩ ডিসেম্বর মধ্যরাতে আকস্মিকভাবে দেশজুড়ে সামরিক আইন জারির ঘোষণা দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল। পরে আইন প্রণেতাদের বিরোধিতার মুখে তা প্রত্যাহার করেন তিনি। এ নিয়ে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা হয় দেশজুড়ে। 

গত শনিবার পার্লামেন্টে বিরোধী দল প্রেসিডেন্ট ইউনকে অভিশংসনের প্রস্তাব তোলে। তবে ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট ইওলের দল পিপল পাওয়ার পার্টি (পিপিপি) পার্লামেন্ট অধিবেশন বয়কট করলে তা ব্যর্থ হয়ে যায়। তবে দ্বিতীয় অভিশংসন প্রস্তাব সফল হলে, প্রধানমন্ত্রী হান ডাক-সু সাময়িকভাবে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেবেন।