এনসিএল টি-টোয়েন্টির উদ্বোধনী দিনে হার মেনেছে তামিম ইকবাল-মুমিনুল হকদের চট্টগ্রাম। তাদের হারের দিনে বৃষ্টি আইনে হেরেছে খুলনা।
আজ বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সিলেট একাডেমি মাঠে বিকেলের ম্যাচে খুলনা আগে ব্যাট করতে নেমে আজিজুল হাকিম তামিমের ফিফটিতে ভর করে ৭ উইকেটে ১৭২ রান করে। জবাবে রাজশাহী ১৭.২ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৫৩ রান তোলার পর খেলা বন্ধ হয়ে যায়। তাতে বৃষ্টি আইনে ১১ রানে জয় পায় রাজশাহী।
খুলনার ১৭২ রানের ইনিংসে আজিজুল হাকিম ৩১ বলে ৩টি চার ও ৪ ছক্কায় করেন ৫৩ রান। অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান ৪ চারে করেন ৩৭ রান। অমিত মজুমদার ১ চার ও ১ ছক্কায় করেন ২৭। এছাড়া মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী ৩ চার ও ২ ছক্কায় অপরাজিত ৩৫ রানের ইনিংস খেলে দলীয় সংগ্রহকে ১৭২ পর্যন্ত নিয়ে যান।
বল হাতে রাজশাহীর ফরহাদ রেজা ৪ ওভারে ১৮ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নেন। মোহর শেখ ৪ ওভারে ১ মেডেনসহ ২৫ রান দিয়ে নেন ২টি উইকেট।
রাজশাহী তাদের টপ অর্ডারের ব্যাটসম্যানদের ব্যাটে দারুণ সূচনা পায়। উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হাবিবুর রহমান ৩৮ বলে ৮টি চার ও ৪ ছক্কায় করেন ৬৬ রান। আরেক উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান সাব্বির হোসেন ৩ চারে করেন ২৮। ওয়ান ডাউনে নামা প্রীতম কুমার ২ চার ও ১ ছক্কায় অপরাজিত ৩০ রানের ইনিংস খেলেন। আর মেহেরব হাসান ৩ চারে ২৬ রান করে আউট হন। তাতে ১৭.২ ওভারেই ১৫৩ তুলে ফেলে রাজশাহী।
বল হাতে খুলনার মৃত্যুঞ্জয় ৩ ওভারে ৩২ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন। ম্যাচসেরা হন হাফ সেঞ্চুরিয়ান রাজশাহীর হাবিবুর।
অন্যদিকে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চট্টগ্রাম আগে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেটে ১৩২ রান করে। জবাবে ১৬.৫ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে নোঙর করে রংপুর। চট্টগ্রামের ইনিংসে আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন তামিম ইকবাল। তিনি অবশ্য সুবিধা করতে পারেননি। ১ চার ও ১ ছক্কায় ১৩ রান করে আউট হন। তাদের মুমিনুল হক সর্বোচ্চ ২৭ রান করেন ২ চার ও ১ ছক্কায়। ইরফান শুক্কুর করেন ২ ছক্কায় ২০ রান। এছাড়া ইয়াসির আলী চৌধুরী ১৮ ও আহমেদ শরীফ করেন অপরাজিত ১৫ রান।
বল হাতে রংপুরের মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ ২ ওভারে ১৯ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নেন। আলাউদ্দিন বাবু ৪ ওভারে ৯ রান দিয়ে নেন ২টি উইকেট। মুগ্ধ হন ম্যাচসেরা।
রংপুর রান তাড়া করতে নেমে তানবীর হায়দারের ৪ চার ও ১ ছক্কায় করা ৪১ রানের ইনিংসে ভর করে দারুণ সূচনা পায়। এরপর নাঈম ইসলামের ২৪ ও আকবর আলীর ২৫ রানের ইনিংসে ১৯ বল আগেই জয় নিশ্চিত করে রংপুর। চট্টগ্রামের হাসান মুরাদ ৪ ওভারে ২৬ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন।