ওয়ানডে ক্রিকেট যেখানে বাংলাদেশের গর্বের জায়গা সেখানেই টানা দুই ম্যাচে বাজে হার। ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে গিয়ে পঞ্চাশ ওভারের ক্রিকেটে এমন নাকানিচুবানি খাবে বাংলাদেশ এমনটা কেউ কল্পনাও করেনি। কিন্তু মাঠের ক্রিকেটে একেবারেই এলোমেলো বাংলাদেশ।
অথচ এই ফরম্যাটে মাঠে নামার আগে দুই দলের জয় পরাজয়ের অনুপাত ছিল ১১:০। মানে, বাংলাদেশ আগের ১১ ওয়ানডেতে জিতেছিল। ওয়েস্ট ইন্ডিজ হেরেছিল সবকটিতে। অথচ সেন্ট কিটসে বাংলাদেশ পরপর দুই ম্যাচে বিব্রতকর হারকে সঙ্গী করেছে। প্রথম ম্যাচে তা-ও ব্যাটিং নিয়ে কিছুটা প্রশংসা করা যায়। দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাটিং হয়েছে হতশ্রী। বোলিং দুই ম্যাচেই ছিল নির্বিষ। যে মানদন্ডে ছিল এতোদিনের বোলিং, তার ধারের কাছেও তা পৌঁছতে পারেনি। তাতে অনুমিত পরাজয়ই ছিল লেখা।
তৃতীয় ম্যাচে আগামীকাল একই মাঠে নামবে দুই দল। বাংলাদেশের জন্য আগামীকালের লড়াইটা হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর মিশন। আর স্বাগতিকদের কাছে শেষ কয়েক বছরের ‘প্রতিশোধ’ নেওয়ার।
বাংলাদেশ শেষ কবে ওয়ানডেতে দ্বিপক্ষীয় সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল, মনে আছে? পরিসংখ্যান বলছে, ২০২১ সালের মার্চের পর ১৫ দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ। এ সময়ে কোনো সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়নি। সবশেষ ২০২১ সালে নিউ জিল্যান্ডের মাটিতে বাংলাদেশ ৩-০ ব্যবধানে ম্যাচ হেরেছিল। এরপর ১৫ দ্বিপক্ষীয় সিরিজের ৯টিতেই জিতেছে বাংলাদেশ। বাকি ৬টিতে হেরেছে। যার একটিতেও অবশ্য হোয়াইটওয়াশ হয়নি।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে দুইবার, নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে একবার ২-১ ব্যবধানে এবং একবার ২-০ ব্যবধানে এবং ইংল্যান্ড ও জিম্বাবুয়ের কাছে ২-১ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজ হেরেছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে বাংলাদেশ হোয়াইটওয়াশ হলে তা নিকট অতীতে বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য বড়সড় ধাক্কা হবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ওয়েস্ট ইন্ডিজ বাংলাদেশের কাছে সবশেষ চারটি সিরিজে হেরেছে। সবশেষ তারা সিরিজ জিতেছিল ২০১৪ সালে। আর ২০০৪ সালের পর তারা কখনো বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশ করতে পারেনি। দুই দশক পর ক্যারিবীয়ানরা যদি বাংলাদেশকে সত্যি-ই হোয়াইটওয়াশ করতে পারে তা বিরাট পাওয়া হবে।
মাঠের ক্রিকেটে যে প্রভাব দেখিয়েছে, পেশাদার পারফরম্যান্স করেছে তা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। শেষটা রাঙাতে পারলে তাদের মিশন সাকসেসফুল। আর বাংলাদেশের জন্য ম্যাচটা হতে যাচ্ছে মর্যাদার, অস্তিত্বের লড়াই।