তীব্র শীতে কাঁপছে বাংলাদেশের সবচেয়ে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়। রাতভর কুয়াশা ঝরছে বৃষ্টির মত। ঘন কুয়াশার সাথে কনকনে শীতে কাবু পুরো জনপদ। তীব্র শীতে স্থবিরতা নেমে এসেছে জনজীবনে। হিমালয়ের কাছাকাছি হওয়ায় পঞ্চগড়ের তীব্র শীত আর কনকনে হিমশীতল ঠাণ্ডায় তাপমাত্রা ১২ দশমিক ৬ ডিগ্রিতে নেমেছে গেছে।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় জেলার তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে ১২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
এর আগে, বুধবার একই সময়ে তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিলো ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে এদিন দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কিছুদিন ধরে এ অঞ্চলে শীতের তীব্রতা একটু বেশি। সূর্যের দেখে মিললেও তেজ নেই তেমন।
এদিকে, হাড় কাঁপানো শীতে জবুথবু অবস্থা জনজীবনেও। কনকনে শীত আর হিমেল বাতাস সহজেই কাবু করছে এখানকার জনজীবন। দুর্ভোগ বেড়েছে খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষের। রাত থেকে সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় ঢাকা থাকে পথঘাট। বিশেষ করে সন্ধ্যা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে। ফলে শ্রমজীবীরা সময়মত কাজে যেতে পারছেন না। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও বিকেলের পর থেকে আবারও বাড়ছে শীতের দাপট। বিপাকে যানবাহন চালকরাও। তাদেরকে হেডলাইট জ্বালিয়ে সাবধানে চলাচল করতে হচ্ছে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, “আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় ১২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিলো ৯৯ শতাংশ। মূলত বাতাসের কারণে বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে। আগামী সপ্তাহে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।”