পটুয়াখালীতে ঘন কুয়াশার সঙ্গে বইছে উত্তুরে হিমেল হাওয়া। বেলা বাড়লেও দেখা মিলছে না সূর্যের। দিনের বেলায়ও হেড লাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন। কনকনে ঠাণ্ডায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় জেলার কলাপাড়ায় এ বছরের সর্বনিম্ন ১১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে খেপুপাড়া আবহাওয়া অফিস।
ঠাণ্ডা বেড়ে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া শ্রমজীবীরা। ভোগান্তি পোহাচ্ছেন চরাঞ্চলে বসবাসকারীরা। গভীর সাগরে অবস্থারত জেলেরা পড়েছেন চরম বেকায়দায়। সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত নামলেই বাজারগুলো থেকে কমে যাচ্ছে মানুষের আনাগোনা। খুব ভোরে অতি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না কেউ।
এদিকে জেলার ৮ উপজেলার হাসপাতালেই বেড়েছে ঠাণ্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা।
কলাপাড়া পৌর শহরের রিকশাচালক মনসুর মিয়া বলেন, “আজ বছরের সবচেয়ে বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে। সেই সঙ্গে সামান্য বাতাস বইছে। তাই রিকশা চালানো দায় হয়ে পড়েছে।”
একই এলাকার নতুন বাজার এলাকার মুদি দোকানি হোসেন বলেন, “গতকাল সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত নামার সঙ্গে সঙ্গেই বাজার থেকে মানুষের আনাগোনা কমে যায়। এছাড়া আজ সকালেও বাজারে মানুষের আনাগোনা কম। তাই বিক্রি অনেক কম হয়েছে।”
পটুয়াখালী জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আক্তার জাহান বলেন, “চলতি মাস জুড়ে শীতের তীব্রতা আরো বাড়তে পারে। সেই সঙ্গে ঘন কুয়াশা এবং হিম বাতাস বিরাজ করতে পারে।”