সারা বাংলা

কুড়িগ্রামে তাপমাত্রা ১৪.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস

শীতে স্থবিরতা নেমে এসেছে কুড়িগ্রামের জনজীবনে। দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে তাপমাত্রা নিম্নগামী থাকায় অনেকটাই ব্যহত হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। গত ৫ দিন ধরে দিনের বেলায়ও ঠিকমতো সূর্যের দেখা মিলছে না। এতে সবচেয়ে বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষজন।

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ৬ টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া অফিস জানায়, আকাশে মেঘ থাকায় দিনের বেশির ভাগ সময় সূর্যের দেখা না মেলার সম্ভাবনা রয়েছে।

এদিকে শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে কৃষি শ্রমিক ও স্বল্প আয়ের খেটে খাওয়া ছিন্নমুল মানুষেরা। তীব্র ঠাণ্ডায় অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টাও করছেন। দিনের বেলা তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও সন্ধ্যার পর থেকে তাপমাত্রা কমতে থাকে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত তীব্র শীত অনুভূত হয়। শীতে কষ্টে পড়েছে জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত ১৬টি নদ-নদী তীরবর্তী চর ও দ্বীপ চরের দরিদ্র মানুষজন। 

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার কাঠালবাড়ী ইউনিয়নের আমির হোসেন বলেন, “আমি অটোরিকশা চালাই। কিন্তু কনকনে ঠাণ্ডায় যাত্রীর সংখ্যা কমে গেছে। দিনে ঠাণ্ডা কম হলেও রাতে হাত-পা বাইরে রাখাই মুশকিল হয়ে পড়ে।”

রাজারহাট উপজেলার উমরমজিদ ইউনিয়নের কৃষি শ্রমিক বনিজ মিয়া বলেন, “জমিতে চারা তৈরির জন্য ধান ছিটাচ্ছি। কিন্তু এতো ঠাণ্ডা যে কাদা পানিতে পা রাখা যাচ্ছে না। ঠাণ্ডার কারণে ঠিকমত কাজ করতে পারছি না। শীতের কাপড় কম থাকায় রাতে বউ বাচ্চাসহ শীত কষ্টে ভূগছি।”

কুড়িগ্রাম আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, “গত দুই সপ্তাহ থেকে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২-১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠানামা করছে। এ মাসের ১৫ তারিখের পর এ জেলার ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।”