সারা বাংলা

দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা গোপালগঞ্জে

গোপালগঞ্জ জেলার উপর দিয়ে হিমেল হাওয়া বয়ে যাওয়ায় তীব্র শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ভোরে তীব্র কুয়াশার সাথে হিমেল হাওয়া বয়ে যাওয়ায় বেড়েছে শীতের তীব্রতা। সূর্যের মুখ দেখা না যাওয়ায় শীতের তীব্রতা দ্বিগুণ অনুভূত হচ্ছে। দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা গোপালগঞ্জে রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ২ ডিগ্রী সেলসিয়াস।

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) গোপালগঞ্জে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

সকাল সাড়ে ৯টায় গোপালগঞ্জ আবহাওয়া অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু সুফিয়ান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, “আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় দেশের ও জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ২ ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এসময় বাতাসের আদ্রতা ছিলো ৯৬ শতাংশ। তীব্র কুয়াশার সাথে হিমেল হাওয়া বয়ে যাওয়া আর সূর্যের মুখ দেখা না যাওয়ায় শীতের তীব্রতা বেড়েছে।”

এদিকে তীব্র শীত আর গরম কাপড়ের অভাবে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে ছিন্নমূল, গরীব ও খেটে খাওয়া মানুষেরা। কাজে বের হতে পারছেন না তারা। তবে অনেকেই টুপি, মাফলার ও চাঁদর মুড়ি দিয়ে বাইরে বেড় হচ্ছেন। ভোরে মহাসড়কসহ বিভিন্ন সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। কৃষকরা জমিতে নামতে পারেনি। অনেকেই শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে ভিড় করছেন হাসপাতালগুলোতে। এরমধ্যে শিশু ও বৃদ্ধদের সংখ্যা বেশি। গরম কাপড় কিনতে পুরানো কাপড়ের দোকানে ছুটছেন নিম্ব আয়ের মানুষেরা। 

জেলা শহরের বাজার রোডের বাসিন্দা গৃহবধূ অনিমা সাহা বলেন, “ভোর আর সন্ধ্যার পর শীতের তীব্রতা বৃদ্ধ পাচ্ছে। বাচ্চাকে সব সময় গরম পোশাক পরিয়ে রাখতে হচ্ছে।” 

রিকশাচালক খবির উদ্দিন বলেন, “শীতের কারনে কাজে বের হতে কষ্ট হচ্ছে। তারপরেও সংসার চালাতে হলে বের হতেই হবে। শীত নিবারণের জন্য পুরানো কাপড়ের দোকানের উপর ভরসা করতে হচ্ছে।”