সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দিয়ে নয় বছর নির্বাসনে রেখেছিলো বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ মিজানুর রহমান ভুঁইয়া মিল্টন।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুল হকের আদালতে শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টা মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন তিনি। তার পক্ষে অ্যাডভোকেট মো. মাসুদুর রহমান শুনানি করেন। আপিলের শর্তে জামিন প্রার্থণা করেন তিনি। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন। পরে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
মিজানুর রহমান বলেন,'‘গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিপ্লবে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর নতুন বাংলাদেশে ফিরে এসেছি। শেখ হাসিনা আমার পরিবারের ওপর অমানবিক নির্যাতন চালিয়েছে। নিজেদের দুর্নীতি ঢাকতে গিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট মামলা দিয়েছে। আদালতকে ব্যবহার করে আমাদের সাজা দিয়েছেন। এখন আদালত নিজস্ব গতিতে চলবে।’’
২০২৩ সালের ১৭ আগস্ট ঢাকার তৎকালীন অ্যাডিশনাল অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূর এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে সাংবাদিক শফিক রেহমান, দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, মিজানুর রহমান ভূঁইয়াসহ পাঁচজনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। পরে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২২ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আসামি মিজানুর রহমানের সাজা এক বছরের জন্য স্থগিত করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরের আগে যেকোনো সময় থেকে এ পর্যন্ত বিএনপির সাংস্কৃতিক সংগঠন জাসাসের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুনসহ বিএনপি ও বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটভুক্ত অন্যান্য দলের উচ্চপর্যায়ের নেতারা রাজধানীর পল্টনের জাসাস কার্যালয়ে, আমেরিকার নিউইয়র্ক শহরে, যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকার আসামিরা একত্রিত হয়ে যোগসাজশে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তাঁর উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে আমেরিকায় অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্র করেন। ওই ঘটনায় ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ফজলুর রহমান ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট বাদী হয়ে পল্টন মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন। ২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি এই পাঁচ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। এ মামলায় সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১২ জন ঢাকার আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।