জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে হাইকোর্টের দেওয়া খালাসের রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগ এ রায় দেন।
রায়ের পর সন্তুষ্টি প্রকাশ করে গিয়াস উদ্দিন আল মামুন বলেন, “আল্লাহর কাছে শুকরিয়া।”
এদিন আদালতে গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী ফিদা এম কামাল। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন আসিফ হোসেন।
২০০৭ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি দুদক গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল করতে নোটিশ পাঠায়। তবে, তিনি বিবরণী দাখিল করেননি। পরে ওই বছরের ৮ মে দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিম ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেন। মামলায় মামুনের বিরুদ্ধে ১০১ কোটি ৭৩ লাখ ৭৩ হাজার ৩৬৯ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়।
এ মামলায় ২০০৮ সালের ২৭ মার্চ বিচারিক আদালত মামুনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও এক বছরের দণ্ড দেন।
ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন গিয়াস উদ্দিন আল মামুন। বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের বেঞ্চ ২০১২ সালের ৩০ জুলাই তাকে খালাস দেন। পরে এ মামলায় আপিলে যায় দুদক।