সারা বাংলা

নাশকতাকারীদের কোন ছাড় নয়, ময়মনসিংহ রেঞ্জ ডিআইজি

আগামী দিনে যারা নাশকতা করবে তাদের কোন ছাড় নয়, জানিয়েছেন ময়মনসিংহ রেঞ্জ ডিআইজি ড. মো. আশরাফুর রহমান। 

তিনি বলেন, “আগামী ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস, ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসসহ ২৫ ডিসেম্বর ক্রিস্টানদের বড়দিন ও ৩১ ডিসেম্বর থার্টি ফাস্ট নাইট উপলক্ষে পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসররা শেরপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নাশকতা করার পায়তারা করছেন। এই নাশকতা ঠেকাতে পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনী ও বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সমাজের সুশীল সমাজ এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের এগিয়ে আসতে হবে।” 

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে তিনি শেরপুর জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের হলরুমে জেলার সুশীল সমাজের সাথে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, “পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসররা আমাদের সমাজেরই কারো ভাই, কারো বোন বা কারো নিকট আত্মীয়। তারা এখন বিভিন্ন রূপে ফিরে আসার চেষ্টা করছে। আমাদের উচিত হবে তাদেরকে শুদ্ধি হয়ে সমাজে ফিরে আসার পরামর্শ দেওয়া। তা না হলে তারা কোনো অবস্থায় ছাড় পাবে না। ফ্যাসিস্টদের বাঁচাতে যারা সহযোগিতা করবে তাদেরও আমরা চিহ্নিত করবো এবং সে ব্যাপারেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” 

আগামী দিনে নতুন বাংলাদেশ গড়তে সমাজের সর্বস্তর থেকে সহযোগিতা চান ডিআইজি ড. আশরাফুর রহমান।

মত বিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- জেলা বিএনপি'র সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল আউয়াল চৌধুরী, পিপি অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান, জেলা জামায়াতের সভাপতি মাওলানা হাফিজুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান বাদল, খেলাফত মজলিসের সভাপতি আব্দুল হালিম, এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক মুকসিতুর রহমান হীরা, শেরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি কাকন রেজা, কার্যকরী সভাপতি রফিক মজিদ, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ হাসান বাদল, ডায়াবেটিস সমিতির সভাপতি রাজিয়া সামার ডালিয়া, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক মামুনুর রহমান প্রমুখ।

এ সময় শেরপুর সেনা ক্যাম্পের লেফটেন্যান্ট কর্নেল আহসান, র‍‍্যাব-১৪ সিইও আব্দুর রাজ্জাকসহ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী অন্যান্য বাহিনী ও পুলিশের বিভিন্ন স্তরের শীর্ষ কর্মকর্তা এবং সুশীল সমাজের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।