ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রোভার স্কাউট গ্রুপের দুইটি রোভার স্কাউট দল ও একটি গার্ল-ইন রোভার দলের সদস্যরা প্রেসিডেন্ট'স রোভার স্কাউট অ্যাওয়ার্ড অর্জনের লক্ষ্যে পরিভ্রমণ শুরু করবেন। পায়ে হেঁটে পাঁচ দিনে ১৫০ কিমি পথ অতিক্রমের মাধ্যমে তারা এ অ্যাওয়ার্ড অর্জন করবেন।
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) থেকে এ তিনটি রোভার দলের পরিভ্রমণ শুরু হবে। শেষ হবে আগামী ১৭ ডিসেম্বর।
জানা গেছে, রোভারিংয়ের সর্বোচ্চ সম্মান এ অ্যাওয়ার্ড অর্জনের একটি ধাপ হলো ‘পরিভ্রমণকারী ব্যাজ’। এটি অর্জনের জন্য রোভারদের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পায়ে হেঁটে ১৫০ কিমি অথবা সাইকেলযোগে ৫০০ কিমি অথবা নৌকাযোগে ২৫০ কিমি ভ্রমণ করতে হয়। এই পরিভ্রমণের উদ্দেশ্য শুধু ব্যাজ অর্জন নয়, বরং রোভারদের শারীরিক সক্ষমতা, ধৈর্য ও একতার নিদর্শন হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
এ লক্ষ্য পূরণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোভার স্কাউট দলের চার সদস্য আহসান উল্লাহ, সারতাজ সাহাদৎ, জয়নাল আবেদীন ও শাহজাহান সম্রাট আগামী ১৩ থেকে ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে চট্টগ্রাম ডিসি অফিস থেকে কক্সবাজার ডিসি অফিস পর্যন্ত ১৫০ কিমি পথ পায়ে হেঁটে ভ্রমণ করবেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী তারা চট্টগ্রাম ডিসি অফিস, গাছবাড়িয়া সরকারি কলেজ, লোহাগাড়া উপজেলা পরিষদ, চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীট, ইদগাঁও উপজেলা পরিষদ ও কক্সবাজার ডিসি অফিসে যাত্রা বিরতি ও রাত্রি যাপন করবেন।
একই তারিখে আরো দুটি দল লিজন পাল, মো. রাসেল ইসলাম, ও সাগর রায় এবং মোসা. ফাতেমাতুন জোহুরা, মোছা. আছিয়া আক্তার রেমিজা, মোছা. মুক্তা আক্তার ও মোসা. আরফিনা আক্তার নরসিংদী সদর থেকে মৌলভীবাজার সদর পর্যন্ত ভ্রমণ করবে। তারা পরিভ্রমণ পরিকল্পনা অনুযায়ী নরসিংদী সার্কিট হাউজ, ভৈরব উপজেলা পরিষদ, মাধবপুর উপজেলা পরিষদ, শায়েস্তাগঞ্জ ডিগ্রী কলেজ, শ্রীমঙ্গল সরকারি কলেজ ও মৌলভীবাজার জেলা স্কাউট ভবনে যাত্রা বিরতি ও রাত্রি যাপন করবেন।
রোভাররা পরিভ্রমণের পাশাপাশি চলতি পথে ‘প্লাস্টিক বর্জন করুন, পৃথিবীকে রক্ষা করুন’, ‘বায়ুদূষণ বন্ধ করি, প্রাণের পৃথিবী গড়ে তুলি’, ‘বাড়ির আঙ্গিনা রাখো পরিষ্কার, ডেঙ্গু রোধে হবে উপকার’সহ বিভিন্ন সচেতনতামূলক বার্তা স্থানীয় জনগণের কাছে তুলে ধরবেন।