বাংলাদেশ: ৩২১/৫ (৫০ ওভার)
মাহমুদউল্লাহ-জাকেরে চড়ে ৫ উইকেটে ৩২১ রান করলো বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে উইন্ডিজের বিপক্ষে এটাই সর্বোচ্চ রান। এর আগে ৩২২ রান করেছিল বাংলাদেশ, সেটি দ্বিতীয় ইনিংসে। ১৩৬ রানের জুটি গড়ে ভিত আগেই গড়ে দিয়েছিলেন মিরাজ-সৌম্য। মাত্র ৬৩ বলে মাহমুদউল্লাহ সর্বোচ্চ ৮৪ রান করেন। হাঁকান ৭টি চার ও ৪টি ছয়। ৫৭ বলে ৬২ রান করেন জাকের। দুজনেই অপরাজিত ছিলেন। দুজনের জুটি থেকে ১১৭ বলে আসে ১৫০ রান। ওয়ানডেতে ষষ্ঠ উইকেটে এটি রেকর্ড জুটি। এর আগে সর্বোচ্চ ছিল ১২৭। এ ছাড়া মিরাজ ৭৭ ও সৌম্য ৭৩ রান করেন। সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন আলঝারি। এই মাঠে তিনশর বেশি রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড নেই, জিততে হলে উইন্ডিজকে গড়তে হবে রেকর্ড।
মাহমুদউল্লাহ-জাকেরের ফিফটি
রাদারফোর্ডকে চার মেরে ফিফটির দেখা পান মাহমুদউল্লাহ। ৪৮ বলে ৩টি চার ও ২টি ছয়ের মারে ফিফটির দেখা পান তিনি। মাহমুদউল্লাহর পরেই ফিফটির দেখা পান জাকের আলী। ৫টি চার ও ১টি ছয়ের মারে ফিফটি করেন এই ডানহাতি ব্যাটার। ৪৭-৪৮ ওভারে দুজনে নেন ৩০ ওভার। দুজনের জুটির সেঞ্চুরি হয় ৯৭ বলে। দুজনের ব্যাটে ভর করে ৪৮.২ ওভারে বাংলাদেশ তিনশ পূর্ণ করে।
বাংলাদেশের দুইশ পার
৩৮তম ওভারের শেষ বলে মোতিকে ছক্কা মেরে বাংলাদেশের স্কোর দুইশ পার করেন মাহমুদউল্লাহ। দুজনের জুটির ফিফটি হয় ৫৯ বলে। মাহমুদউল্লাহ ২৯ ও জাকের ২৫ রানে ব্যাট করছেন। মিরাজ-আফিফের আউটের পর দুজনের জুটির পথচলা শুরু হয়।
মিরাজের পর সাজঘরে আফিফ, ছন্দ হারালো বাংলাদেশ
রানআউটে মিরাজের ৭৭ রানের ইনিংসের ইতি ঘটে। তার পরেই আফিফও ফেরেন সাজঘরে। পরপর দুই উইকেট হারিয়ে ছন্দ হারালো বাংলাদেশ। সৌম্যর আউটের পর দুজনে জুটি গড়ে এগোচ্ছিলেন। ৩০তম ওভারে পয়েন্টে ঠেলে দিয়ে দৌড় দেন আফিফ। অপর প্রান্তে থাকা মিরাজও সাড়া দিয়ে দৌড় দেন। কিন্তু স্ট্রাইকে যাওয়ার আগেই রাদারফোর্ডের ডিরেক্ট থ্রোতে ভেঙে যায় উইকেট। ৭৩ বলে ৭৭ রানে ফেরেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ২টি ছয় ও ৮টি চারে সাজিয়েছেন ইনিংস। পরের ওভারেই রাদারফোর্ডকে পুল করতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন আফিফ। ২৯ বলে ১৫ রান করেন আফিফ। ক্রিজে দুই নতুন ব্যাটার মাহমুদউল্লাহ-জাকের।
মোতিকে ছক্কার পর সাজঘরে সৌম্য
মোতিকে মাথার উপর দিয়ে বাউন্ডারির বাইরে পাঠান সৌম্য। পরের বলেই সৌম্যর ব্যাট মিস করে লাগে পায়ে। জোরালো আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। মিরাজের সঙ্গে কথা বলে রিভিউ নেন সৌম্য। লাভ হয়নি। ৭৩ বলে ৭৩ রান করেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। ৪টি ছয় ও ৪টি চারের মারে ইনিংসটি সাজান তিনি। ১৪৫ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ। সৌম্যর আউটে ভাঙে ১৩৬ রানের জুটি। ক্রিজে মিরাজের সঙ্গী হন আফিফ।
সৌম্য-মিরাজের ফিফটি, বাংলাদেশের সেঞ্চুরি
গুদাকেশ মোতিকে চার মেরে ফিফটির দেখা পান মিরাজ। ৫৬ বলে ৬টি চার ও ১টি ছয়ের মারে ফিফটির ইনিংসটি সাজিয়েছেন। এক বল পরেই মোতির ওভারে সিঙ্গেল নিয়ে ফিফটির দেখা পান সৌম্য। ৩টি করে চার-ছয়ের মারে ৫৮ বলে ফিফটি করেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। ১৯.১ ওভারে বাংলাদেশ দলীয় রান ১০০ পার করে। তৃতীয় উইকেটে ১০৮ বলে সৌম্য-মিরাজ জুটির সেঞ্চুরি হয়।
সৌম্য-মিরাজের প্রতিরোধ
তিন বলের মধ্যে শূন্য রানে ফেরেন তানজীদ-লিটন। শুরুতেই জোড়া ধাক্কা সামলে প্রতিরোধ গড়েন সৌম্য-মিরাজ। প্রথম পাওয়ার প্লে-তে বাংলাদেশ ২ উইকেটে ৪৬ রান করে । পাওয়ার প্লের পর প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকিয়ে দলীয় ফিফটি পূর্ণ করেন সৌম্য। দুজনের ফিফটির জুটি হয় ৫৬ বলে। সৌম্য ৩০ ও মিরাজ ৩৫ রানে ব্যট করছেন।
শুরুতেই শূন্য রানে ফিরলেন তানজীদ-লিটন
আলঝারি জোসেফের আউটসাইড অফের বলে পুল করতে চেয়েছিলেন তানজীদ। কিন্তু কিছুটা দেরি করে ফেলেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। মিডউইকেটে সহজ ক্যাচ ধরেছেন রাদারফোর্ড। ৫ বল খেলে শূন্য রানে ফেরেন এই ব্যাটার। ক্রিজে আসা নতুন ব্যাটার লিটন ফেরেন ১ বলের ব্যবধানে। ব্যাক অব লেন্থের বল বেরিয়ে যাচ্ছিল অফ দিয়ে। ব্যাট চালিয়ে বসেন লিটন। কানা লেগে যায় উইকেটের পেছনে। ২ বলে শূন্য রানে ফেরেন লিটন। ৯ রানে বাংলাদেশ হারালো ২ উইকেট। ক্রিজে সৌম্যর সঙ্গী মিরাজ।
ধবলধোলাই এড়ানোর মঞ্চে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে মুখোমুখি বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেন্ট কিটসে বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৭টায় লড়াই শুরু হবে। এই ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিং করবে মেহেদী হাসান মিরাজের দল। ২-০ ব্যবধানে হেরে ইতিমধ্যে সিরিজ খুইয়েছে বাংলাদেশ। আজ লড়াই ধবলধোলাই এড়ানোর।
একাদশে তিন পরিবর্তন
দুই পেসার ও তিন স্পিনার নিয়ে একাদশ সাজিয়েছে বাংলাদেশ। একাদশে এসেছে তিন পরিবর্তন। তিন পেসার নাহিদ রানা, শরিফুল ইসলাম ও তানজীম সাকিব বিশ্রামে। তাদের পরিবর্তে তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ ও নাসুম আহমেদ একাদশে এসেছেন।
বাংলাদেশ একাদশ
তানজিদ হাসান, সৌম্য সরকার, লিটন দাস (উইকেটরক্ষক) আফিফ হোসেন, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মেহেদি হাসান মিরাজ (অধিনায়ক), জাকের আলী, রিশাদ হোসেন, নাসুম আহমেদ, তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ।
উইন্ডিজ একাদশে দুই নতুন মুখ
তি পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নেমেছে উইন্ডিজ। একাদশে ফিরেছেন আলঝারি জোসেফ। অভিষেক হচ্ছে আমির জানগো ও জেদিয়াহ ব্লেডসের।
উইন্ডিজ একাদশ
ব্র্যান্ডন কিং, আমির জানগো, কেসি কার্টি, শাই হোপ (অধিনায়ক), শেরফেন রাদারফোর্ড, অ্যালিক আথানাজে, রোস্টন চেজ, রোমারিও শেফার্ড, গুদাকেশ মতি, আলঝারি জোসেফ, ও জেদিয়াহ ব্লেডস।