অপহরণ ও ধর্ষণে সহযোগিতা করার মামলায় সাবেক ভূমিমন্ত্রী নারায়ণচন্দ্র চন্দকে এক দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ এর বিচারক রাকিবুল ইসলাম রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে নগরীর সোনাডাঙ্গা থানার নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলায় নারায়ণচন্দ্র চন্দকে বিশেষ নিরাপত্তায় খুলনা জেলা কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক রিবন খান ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
পরে আদালত থেকে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থায় তাকে খুলনা জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী মোমিনুল ইসলাম এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আদালত সূত্র জানায়, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক নারীকে দীর্ঘদিন ধরে ধর্ষণ করে আসছিলেন ডুমুরিয়া উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহম্মেদ। গত ২৭ জানুয়ারি রাতে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে ওই নারী খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। পর দিন হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের (ওসিসি) সামনে থেকে কয়েকজন লোক জোর করে ওই নারীকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। অভিযুক্তরা সাবেক ভূমিমন্ত্রী নারায়ণচন্দ্র চন্দের ঘনিষ্ঠ সহচর ও অনুসারী। তাদের বাঁচাতে তৎকালীন ভূমিমন্ত্রী অবৈধ প্রভাব বিস্তার করায় চিকিৎসা শেষ হওয়ার আগে ওই নারীকে হাসপাতাল থেকে রিলিজ দেওয়া হয়। এরপর তাকে বিভিন্ন স্থানে আটকে রেখে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে মিথ্যা বক্তব্য দিতে বাধ্য করা হয়।
এ ঘটনায় ধর্ষণ ও অপহরণের শিকার ওই নারীর খালাত ভাই পরিচয়দানকারী গোলাম রসুল বাদী হয়ে গত ৯ অক্টোবর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুাল-৩ এ ধর্ষণ ও অপহরণের অভিযোগ করেন। পরে আদালত ঘটনা তদন্ত করে নগরীর সোনাডাঙ্গা থানাকে মামলা রুজু করার নির্দেশ দিলে গত ১৭ অক্টোবর ডুমুরিয়া উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহম্মেদসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়। সাবেক ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ মামলার ২ নম্বর আসামি।