২০১০ সালে ‘ইয়ে মায়া চেসাভে’ সিনেমার মাধ্যমে নায়িকা হিসেবে অভিনয় ক্যারিয়ার শুরু করেন সামান্থা রুথ প্রভু। প্রথম সিনেমায় সামান্থার নায়ক ছিলেন নাগা চৈতন্য। এই সিনেমার সেটে প্রথম আলাপ হয় দু’জনের। সেখান থেকে তাদের ভালো লাগা ও বন্ধুত্ব।
২০১৪ সালে ‘অটোনগর সুরিয়া’ সিনেমার শুটিংয়ের সময়ে নাগা চৈতন্য এবং সামান্থার বন্ধুত্ব আরো গভীর হয়। ২০১৫ সালে নাগাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে সামান্থা একটি মিষ্টি বার্তা লিখেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। এরপর জবাবও দেন নাগা। তারপর বিষয়টি নিয়ে দারুণ আলোচনা হয়। এরপর একাধিক অনুষ্ঠানে নাগা-সামান্থাকে একসঙ্গে দেখা যায়। প্রেমের গুঞ্জন চাউর হলেও দুই তারকাই মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন। ২০১৬ সালে নাগার সঙ্গে সম্পর্কে থাকার খবরে সীলমোহর দেন সামান্থা।
২০১৭ সালে বাগদান সারেন সামান্থা-নাগা চৈতন্য। একই বছরের অক্টোবরে ধুমধাম করে বিয়ে করেন তারা। কিন্তু তাদের বিবাহিত জীবন দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। চতুর্থ বিবাহবার্ষিকীর মাত্র চার দিন আগে বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন এই দুই তারকা। ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে সংসার জীবনের ইতি টানেন এই জুটি।
নাগার সঙ্গে সামান্থার বিবাহবিচ্ছেদের পর তাদের ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে কাটাছেঁড়া শুরু হয়। সামান্থার অতীত নিয়েও আলোচনা শুরু হয়। নাগার আগে আরো এক দক্ষিণী অভিনেতার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন সামান্থা। কয়েক দিন আগে নাগা চৈতন্য অভিনেত্রী শোভিতাকে বিয়ে করার পর আলোচনায় উঠে আসেন সামান্থা; শুরু হয় এ অভিনেত্রীর প্রেম জীবন নিয়ে চর্চা।
২০১৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত তেলুগু ভাষার রোমান্টিক-কমেডি ঘরানার সিনেমা ‘জবরদস্ত’। এতে সামান্থার সঙ্গে জুটি বাঁধেন দক্ষিণী সিনেমার অভিনেতা সিদ্ধার্থ। কানাঘুষা শোনা যায়, সিনেমাটির শুটিং সেটে দুই তারকার মধ্যে সম্পর্ক গভীর হয়। কাজের উসিলায় পরিচয় হলেও সামান্থা-সিদ্ধার্থের সম্পর্ক ব্যক্তিগত স্তরে বাঁধা পড়ে যায়। সিদ্ধার্থের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন সামান্থা। টানা দুই বছর সম্পর্কে ছিলেন তারা। কিন্তু তাদের সম্পর্ক খুব একটা মধুরভাবে শেষ হয়নি। শোনা যায়, সিদ্ধার্থের সঙ্গে সম্পর্কে থাকাকালীন সামান্থা অন্য অভিনেতাদের সঙ্গে মেলামেশা করুন; যা পছন্দ হয়নি সিদ্ধার্থের। এই বিষয় নিয়ে তাদের মাঝে কথা কাটাকাটিও হয়।
ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির কারো কারো দাবি, দীর্ঘদিন সম্পর্কে থাকার পর সিদ্ধার্থকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন সামান্থা। কিন্তু সিদ্ধার্থ নানাভাবে তা এড়িয়ে যান। বিয়ে নিয়ে বিশেষ আগ্রহ দেখাতেন না তিনি। তা ছাড়াও সামান্থা-সিদ্ধার্থের সম্পর্কে ঢুকে পড়েন কন্নড় সিনেমার অভিনেত্রী দীপা। ২০১৫ সালে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় তামিল সিনেমা ‘এনাকুল ওরুভান’। এই সিনেমায় সিদ্ধার্থের বিপরীতে অভিনয় করেন দীপা। সেখান থেকেই ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়েন তারা।
সিনেমা সংশ্লিষ্টদের দাবি, ‘এনাকুল ওরুভান’ সিনেমার শুটিং চলাকালীন সিদ্ধার্থ-দীপার মাঝে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। নানা জায়গায় একসঙ্গে দেখা যায় দুই তারকাকে। শোনা যায়, সামান্থা-সিদ্ধার্থের সম্পর্কের তৃতীয় ব্যক্তি ছিলেন দীপা। ২০১৫ সালে সম্পর্কের ইতি টানেন সামান্থা-সিদ্ধার্থ। বিচ্ছেদের নেপথ্যে যে দীপা রয়েছেন তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়। বিচ্ছেদের পর মুখ খুলেন সামান্থা। মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সে (টুইটার) সামান্থা লেখেন, “সম্পর্ক থেকে আমি শুধুই যন্ত্রণা পেয়েছি বলে অনেকে আলোচনা করছেন। কিন্তু তা সত্য নয়। সিদ্ধার্থ খুব ভালো মানুষ; যা হয়েছে তা সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত। দয়া করে কোনো পক্ষ নেবেন না। থামুন।”
চলতি বছরের নভেম্বরে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পায় রাজ এবং ডিক পরিচালিত ‘সিটাডেল: হানি বানি’ ওয়েব সিরিজ। এতে অভিনয় করেন সামান্থা রুথ প্রভু। শুধু তাই নয়, ২০২১ সালে রাজ-ডিকে পরিচালিত ‘দ্য ফ্যামিলি ম্যান’-এর দ্বিতীয় সিজনেও অভিনয় করেন সামান্থা। মূলত, এরপরই গুঞ্জন চাউর হয়, রাজ-ডিকে জুটির রাজ নিদিমোরুর সঙ্গে প্রেমেরে সম্পর্কে জড়িয়েছেন সামান্থা। যদিও বিষয়টি নিয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেননি এই অভিনেত্রী।