মটো কর্নার

বাইক ডেলিভারি নেওয়ার আগেই এগুলো দেখে নিন, নইলে ঠকবেন

উচ্চ সিসির বাইকের যুগে প্রবেশের পর বাংলাদেশে মোটরসাইকেল বিক্রির প্রক্রিয়াতে কিছুটা পরিবর্তন এসেছে। এখন অনেক কোম্পানির বাইক কিনতে গেলেই প্রি-বুক করতে হয়। অবস্থাভেদে সপ্তাহ-মাস পেরিয়ে যাচ্ছে নতুন বাইক হাতে পেতে। বহুল প্রতীক্ষিত বাইকটি ঘরে নেওয়ার আগে শোরুম থেকে অবশ্যই কিছু জিনিস দেখে নেওয়া উচিত, যাতে আপনি ভবিষ্যতে গিয়ে ঠকে না যান। 

চেসিস ও ইঞ্জিন নাম্বার: বাইকের চেসিস নম্বরের সঙ্গে কাগজে লেখা চেসিস নাম্বার ও ইঞ্জিন নাম্বারের মিল থাকাটাই স্বাভাবিক। তবে কদাচিৎ বিক্রেতার ভুলের কারণে অমিল হতে পারে। অবশ্য এ ধরনের ঘটনা কিছুটা বিরল, তবে হতেই বা কতক্ষণ। বছর খানেক আগে একটি বড় কোম্পানির সেলস সেন্টারে এ ধরনের অভিযোগ নিয়ে হাজির হয়েছিলেন এক ক্রেতা। পরে অবশ্য তার সমস্যার সমাধান করা হয়েছে। তাই বাইক ঘরে নেওয়ার আগে কাগজে এবং বাস্তবে পরীক্ষা করে নেওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ।

স্ক্র্যাচ: শোরুমে বাইক প্রবেশের আগে ট্রাক থেকে ওঠানামার সময় ঘষার দাগ থাকতে পারে বাইকের বডিতে। তাই ভালোভাবে বাইকটি দেখে নিন। আবেগের পাখায় উড়ে বাইক নিয়ে ঘরে ফিরে যদি দেখতে পান এতে স্ক্র্যাচ আছে তাহলে কিন্তু আফসোসের শেষ থাকবে না।

টায়ার: বাইকের টায়ারেও সমান ভাবে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। টায়ারে থাকা হলুদ ডটটি নজেল বরাবর আছে কিনা দেখে নিন। এতে অনেক ঝামেলা থেকে বাঁচবেন। 

চাবি : নতুন বাইকের সঙ্গে দুটি চাবি দেওয়া হয়। দুটি চাবেই সঠিকভাবে কাজ করছে কিনা তা দেখে নেওয়া উচিত।

লাইটিং: চাবি হাতে পাওয়ার পর বাইকের হেডলাইট, টার্ন সিগন্যাল ল্যাম্প এবং ডে নাইট ল্যাম্প বা DRL সঠিক ভাবে কাজ করছে কিনা তা যাচাই করা উচিত। পাশাপাশি হাই বিম ও লো বিমে লাইটগুলো পরীক্ষা করে দেখে নিন।

ডিসপ্লে ও ফিচার্স: অবশ্যই বাইকের ডিজিটাল ইনস্ট্রুমেন্ট ক্লাস্টার, ওডোমিটার, স্পিডোমিটার, ট্রিপ মিটার ইত্যাদি দেখে নিন। কারণ এগুলো আপনার রাইডিংয়ের ক্ষেত্রে অত্যন্ত জরুরি। বাইকে যদি ব্লুটুথ কানেক্টিভিটি থাকে তাও চেক করে নেবেন। শোরুমের বিক্রয়কর্মীর কাছ থেকে সেই ফিচার সংক্রান্ত যাবতীয় কৌতূহল মিটিয়ে নেওয়া উচিত।

ইঞ্জিন: নতুন বাইকে কেনার সময় সবচেয়ে জরুরি হচ্ছে বাইকের ইঞ্জিন পরীক্ষা করে দেখা। স্টার্ট দিয়ে ভালো করে যাচাই করে নেবেন ইঞ্জিন সঠিকভাবে কাজ করেছে কিনা, বিকট শব্দ বেরোচ্ছে কিনা।