সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় কাঁপছে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়। ঘন কুয়াশার সাথে কনকনে শীতে কাবু পুরো জনপদ। বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। তীব্র শীতে স্থবিরতা নেমে এসেছে জনজীবনে। চলতি শীত মৌসুমের ও দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় রেকর্ড করা হয় ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এক ডিগ্রি বেড়ে আজ ৯ ডিগ্রির ঘরে গিয়ে পৌঁছেছে।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় জেলার তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
আবহাওয়া দপ্তর বলছে, ৮ দশমিক ১ ডিগ্রি থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে তাপমাত্রা বিরাজ করলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ ধরা হয়। সে হিসেবে পঞ্চগড়ের ওপর দিয়ে এখন মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে।
এর আগে, শুক্রবার সকাল ৯টায় এ জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিলো ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত কয়েকদির ধরে এ অঞ্চলে শীতের তীব্রতা একটু বেশি। সূর্যের দেখে মিললেও তেজ নেই তেমন।
এদিকে, হাড় কাঁপানো শীতে জবুথবু অবস্থা জনজীবনেও। কনকনে শীত আর হিমেল বাতাস সহজেই কাবু করছে এখানকার জনজীবন। দুর্ভোগ বেড়েছে খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষের। রাত থেকে সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় ঢাকা থাকে পথঘাট। বিশেষ করে সন্ধ্যা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে। ফলে শ্রমজীবীরা সময়মত কাজে যেতে পারছেন না। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও বিকেলের পর থেকে আবারও বাড়ছে শীতের দাপট। বিপাকে যানবাহন চালকরাও। তাদেরকে হেডলাইট জ্বালিয়ে সাবধানে চলাচল করতে হচ্ছে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, “জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে। আজ সকাল ৯টায় তাপমাত্রা ছিলো ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ছিলো ৯৯ শতাংশ। আরো কয়েকদিন আবহাওয়া এমন থাকতে পারে।”