নিউ জিল্যান্ডের শুরুটা দেখে ভক্তরা আশাবাদী হয়ে উঠেছিলেন। দিনটা তাদের পক্ষেই যাবে ধরে নেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলে গেল ম্যাচের দৃশ্যপট। দারুণ বোলিংয়ে ঘুরে দাঁড়াল ইংল্যান্ড। একশ রানের মধ্যেই তারা ফেল দিল নিউ জিল্যান্ডের ৯ উইকেট। তাতে হ্যামিল্টন টেস্টের প্রথমদিন শেষে সমানে সমান অবস্থানে দুই দল।
ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে উদ্ধোধনী জুটিতেই ১০৫ রান তুলে ফেলে নিউ জিল্যান্ড। এরপরই ঘুরে দাঁড়ায় ইংল্যান্ড। ২১০ রানে যেতেই পড়ে গেল ৯ উইকেট। মাত্র ১০৫ রানে ৯ উইকেট হারানো নিউ জিল্যান্ড প্রথমদিন শেষ করেছে ৯ উইকেটে ৩১৫ রানে নিয়ে। দ্বিতীয় দিন সকালে যত দ্রুত সম্ভব স্বাগতিকদের অলআউট করে ব্যাটিংয়ে নামার পরিকল্পনাটা বেন স্টোকসদের।
এই ম্যাচই টিম সাউদির ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট। ম্যাচে টস জিতে কিউইদের ব্যাটিংয়ে পাঠান ইংল্যান্ড অধিনায়ক স্টোকস। ব্যাট করতে নেমে দলকে দারুণ শুরু এনে দেন দুই ওপেনার টম লাথাম ও উইল ইয়াং। দুজন মিলে এক বছরেরও বেশি সময় পর টেস্টে দলকে শত রানের জুটি এনে দেন।
ইয়াং ৪২ রান করে আউট হলে ভাঙে এই জুটি। গাস অ্যাটকিনসনের বলে স্লিপে ক্যাচ দেন এই ওপেনার। এরপর তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে নিউ জিল্যান্ডের ইনিংস। আর কোনো জুটি পঞ্চাশ রানও পার করতে পারেনি। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৩ রান করে আউট ল্যাথাম। তিনে নেমে কেন উইলিয়ামসন করেন ৪৪ রান।
এরপর কিউই ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মিছিলে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫৪ বলে ৪১ রানের জুটি গড়েন মিচেল স্যান্টনার–ম্যাট হেনরি। ৫০ রানে দিন শেষে অপরাজিত স্যান্টনার। তার সঙ্গী উইল ও’রুর্কি। সাউদি আউট হয়েছেন ৩ ছক্কা ও ১ চারে ১০ বলে ২৩।
ইংল্যান্ডের হয়ে ৩টি করে উইকেট অ্যাটকিনসন ও পটসের।
সংক্ষিপ্ত স্কোর (প্রথম দিন শেষে): নিউ জিল্যান্ড: ৮২ ওভারে ৩১৫/৯ (ল্যাথাম ৬৩, স্যান্টনার ৫০*, উইলিয়ামসন ৪৪, ইয়াং ৪২, সাউদি ২৩; অ্যাটকিনসন ৩/৫৫, পটস ৩/৭৫, কার্স ২/৭৮, স্টোকস ১/৮৬)