বিনোদন

আমি সমকামী ছিলাম: কবীর সুমন

কিশোর বয়সে সমকামী ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলা গানের শ্রোতাপ্রিয় সংগীতশিল্পী কবীর সুমন। ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমন বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন এই ‘গানওয়ালা’।

সমসাময়িক নানা বিষয়ে মন্তব্য করতে দেখা যায় কবীর সুমনকে। এজন্য সংবাদমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে থাকেন এই শিল্পী। ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের বিষয়টি নিয়েও তার ব্যতিক্রম হয়নি। এ বিষয়ে কথা বলতে গিয়েই নিজের কৈশোরকাল নিয়ে মন্তব্য করেন বরেণ্য এই শিল্পী।

৭৬ বছরের কবীর সুমন বলেন, “পতাকার চেয়ে নিঃসন্দেহে ভালোবাসা বড়। আমি তো খুব ছোটবেলায় সমকামী ছিলাম। খুব ছোট না ১৬ বছর বয়সে। তারপর আর সমকামী নই। তখন আমার নারীদেরই বেশি ভালো লাগত; এখনো ভালো লাগে। এই ধরুন, আপনাকে আমার ভালো লাগছে। কিন্তু আপনাকে ভালো লাগছে মানে কি আমি জানতে চাইছি আপনার দেশ কোথায়?”

খানিকটা ব্যাখ্যা করে কবীর সুমন বলেন, “ধরুন, আপনি পোল্যান্ডের নাগরিক। তাহলে কি আমাকে পোল্যান্ডের পতাকা বুকে নিয়ে ঘুরতে হবে? সেই জাগয়া থেকেই বলছি, পতাকার চেয়ে ভালোবাসা অনেক বড়।”

১৯৬৯ সালে প্রথম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে ভয়েস অব আমেরিকায় কাজ করার সময়ে ওপার বাংলার সোফিয়া নাজমা চৌধুরীর সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। ১০ বছর পর ভারতে ফিরে কলকাতায় সংসার বাঁধেন তারা। জানা যায়, নাজমাকে বিয়ে করার সময়ে ধর্মান্তরিত হন কবীর সুমন। পরে জার্মানিতে পাড়ি জমান এই দম্পতি। সেখানে যাওয়ার পর তাদের সম্পর্কে ভাঙন ধরে। 

সোফিয়ার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর মারিয়া নামে এক নারীতে মজেন কবীর সুমন। তবে সেই বিয়েও সুখের হয়নি। নব্বই দশকের শেষে মারিয়া সুমনের বিরুদ্ধে শারীরিক-মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ আনেন। নতুন শতাব্দীতে নতুনভাবে শুরু করেন কবীর সুমন। মারিয়ার সঙ্গে ডিভোর্স মঞ্জুর হওয়ার আগেই বাংলাদেশের গায়িকা সাবিনা ইয়াসমিনকে বিয়ে করেন। তবে এ গায়কের অপর দুই স্ত্রীর পরিচয় রহস্যের আড়ালেই রয়ে গেছে।

১৯৯২ সালে ‘তোমাকে চাই’ শিরোনামের গানের অ্যালবাম প্রকাশের পর শ্রোতাপ্রিয়তার শীর্ষে চলে যান কবীর সুমন। জীবনমুখী বাংলা গানের প্রবর্তক হিসেবে তাকে দুই বাংলার শ্রোতারা সাদরে গ্রহণ করেন। একসময় স্থানীয় রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত হন কবীর সুমন। ২০০৯ সালে যাদবপুর কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ে এই গায়কের।