বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান রিপন বলেছেন, “ভারতকে রিয়েলিটি মেনে নিতে হবে। শেখ হাসিনা আর কখনো বাংলাদেশের ক্ষমতায় আসতে পারবে না- এটাই রিয়েলিটি। বাংলাদেশের মানুষ ভারতের দাদাগিরি পছন্দ করে না। ভারতকে প্রতিবেশী সুলভ আচরণ করতে হবে। বাংলাদেশের মানুষের প্রতি তাদের শ্রদ্ধা থাকতে হবে। দিয়ে দিয়ে আমরা সম্পর্ক করব না।”
তিনি আরো বলেন, “আমরা ভবিষ্যতে এমন একটি সরকার চাই, যারা ভারতের সরকারের চাখে চোখ রেখে কথা বলতে পারবে। মাথা নিচু করা সরকার না। নতজানু সরকার বাংলাদেশের মানুষ কখনো গ্রহণ করবে না।”
রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজবাড়ী জেলা বিএনপি কার্যালয় চত্বরে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। জেলা বিএনপির কাউন্সিল উপলক্ষে এ সভার আয়োজন করা হয়েছিল।
আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, “আমরা সুন্দরভাবে সংগঠন করলে একটা চমৎকার কাজ হবে। আগামীতে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হবে, দল সংগঠিত থাকবে। দল সংগঠিত না থাকলে ঐক্যবদ্ধ না থাকলে স্থানীয় সরকার নির্বাচন বলেন, ইউনিয়ন নির্বাচন বলেন ভালো করা যাবে না। নিজেদের মধ্যে ভোদাভদ থাকলে ভালো করা যাবে না। আপনারা ঐক্যবদ্ধ না হলে দেশের বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্র চলছে, সে ষড়যন্ত্র কী করে মোকাবিলা করবেন।”
তিনি আরো বলেন, “আমাদের মহসাচিব অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করে বলেছেন, জাতীয় ঐক্য, সার্বভৌমত্বের জন্য পুরো জাতি ঐক্যবদ্ধ আছে। একটা জাতি ঐক্যবদ্ধ থাকলে যে কোনো সংকট মোকাবিলা করতে পারে। আমাদের জাতীয় নিরাপত্তায় কোনো শক্তির আঘাত আসলে আমরা পাল্টা আঘাত করবো।”
আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, “বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িক ও ধর্মান্ধ রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা চলছে। ভারত এই প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে। বাংলাদেশ আমাদের দেশ। আমাদের দেশের নিরাপত্তা জন্য আমরাই যথেষ্ট। আমাদের দেশের মানুষ ধর্মসহিষ্ণু, সম্প্রদায়িক নয়। আমরা সব ধর্মের মানুষকে নিয়ে একসঙ্গে চলতে পছন্দ করি।”
রাজবাড়ী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট লিয়াকত আলীর সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার মাশুকুর রহমান, সেলিমুজ্জামান সেলিম, কৃষক দলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আসলাম মিয়া, রাজবাড়ী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট কামরুল আলম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশীদ, পৌর বিএনপির সভাপতি তোফাজ্জেল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক কেএম খালেদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান লিখন প্রমুখ। সভা সঞ্চালনা করেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক রেজাউল করিম পিন্টু।