জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) অধিভুক্ত কলেজে শিক্ষক ঘাটতি পূরণের পাশাপাশি অবসর দেওয়ার ক্ষেত্রে সরকারি চাকরি আইন-২০১৮ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে বলবত হবে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য ড. এএসএম আমানুল্লাহ।
ররিবার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসের সিনেট হলে বিশেষ সিনেট অধিবেশনে তিনি এ সব কথা বলেন।
উপাচার্য বলেন, ‘‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোতে শিক্ষকের ঘাটতি রয়েছে। এ ঘাটতি পূরণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হচ্ছে। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব নেওয়ার পর সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সেগুলোর সমাধান ও সঠিক উন্নয়নের জন্য কর্মপরিকল্পনা ও কর্মসূচি হাতে নিয়েছি।’’
তিনি বলেন, গৃহীত কর্মপরিকল্পনার মধ্যে- শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের পদোন্নতি, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বদলি, চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহালের উদ্যোগ, সাময়িক বরখাস্ত প্রত্যাহার, ২৫ বছর চাকরিপূর্তিতে অবসর দেওয়া, বিভিন্ন কর্তৃপক্ষ (বডি) পুনর্গঠন, ব্যয় সংকচোন ও অপচয় রোধ, সত্যানুসন্ধান কমিটি গঠন, আর্থিক কর্মকাণ্ডের অডিট পর্যালোচনা, কলেজ গভর্নিং বডি পুনর্গঠন, অধিভুক্তি সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনা, কারিকুলাম উন্নয়ন ও মূল্যায়ন কার্যক্রম, জমি অধিগ্রহণ ও মডেল ক্যাম্পাস স্থাপনের পরিকল্পনা, ক্রীড়া কমপ্লেক্স নির্মাণের জন্য ভূমি বরাদ্দ, সাইবার সিকিউরিটি ও ফরেনসিক ইন্সটিটিউট স্থাপনের পরিকল্পনা, আঞ্চলিক কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্প, অনার্স কোর্সে ভর্তি পরীক্ষা পুনরায় চালুকরণ প্রভৃতি।
অধিবেশনের ভাষণে উপাচার্য ড. এএসএম আমানুল্লাহ জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণ করেন। তিনি বলেন, “শহীদদের রক্তের ঋণ কখনো শোধ হবে না। এ অভ্যুত্থানে নিহত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শহীদদের স্মৃতি চিরজাগ্রত রাখতে, অধিভুক্ত কলেজে শিক্ষাবৃত্তি দেওয়ার জন্য ট্রাস্ট গঠন; জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে স্মৃতিফলক নির্মাণ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ভবন বা স্থাপনা শহীদ আবু সাইদ ও শহিদ মীর মুগ্ধর নামে নামকরণসহ বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’
তিনি আরো বলেন, অধিভুক্ত কলেজসমূহে শহীদ শিক্ষার্থীদের নামে স্মৃতিফলক নির্মাণ এবং কলেজ অডিটোরিয়াম, লাইব্রেরি ভবনসহ বিভিন্ন স্থাপনা নামকরণসহ স্মৃতিকর্ম উদ্বোধন করা হবে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব ও অতিরিক্ত সচিব, বিভাগীয় কমিশনার, বিভিন্ন শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান, বিভিন্ন কলেজের অধ্যক্ষ ও শিক্ষাবিদসহ ৬৯ জন সিনেট সদস্য এবং সিন্ডিকেট থেকে আমন্ত্রিত অতিথিরা সিনেট অধিবেশন অংশ নেন।
এ ছাড়া জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর মো. লুৎফর রহমান ও প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. নুরুল ইসলাম, ট্রেজারার প্রফেসর ড. এটিএম জাফরুল আযম এবং সিনেট সচিব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার মোল্লা মাহফুজ আল হোসেন অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন।