সারা বাংলা

দুই বছর পর মিলল হাঁসের কালো রঙের ডিম 

হাঁস সাধারণত সাদা রঙের ডিম দেয়। তবে সে ডিম যদি হয় কালো তাহলে তা নিয়ে কৌতূহল সৃষ্টি হওয়াই স্বাভাবিক। ২০২২ সালে সেপ্টেম্বর মাসে বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার মিঠাখালী ইউনিয়নের ঠোটেরডাঙ্গা গ্রামে ও একই বছরের অক্টোবর মাসে হাঁসের কালো ডিম দেওয়ার ঘটনা ঘটে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার নারায়নপুর ইউনিয়নে। এ নিয়ে সেসময় দেশব্যাপী আলোচনার সৃষ্টি হয়। দুই বছর পর আবারো কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলায় সন্ধান মিলেছে হাঁসের কালো ডিমের। 

এবার এই ডিমের দেখা মিলেছে নাগেশ্বরী উপজেলার কেদার ইউনিয়নের সুবলপাড় পশ্চিম বিষ্ণুপুর গ্রামের মাছুম মিয়া ও শিউলি দম্পতির বাড়িতে। গত ৯ ডিসেম্বর থেকে তার পালিত হাঁস কালো ডিম দিতে শুরু করেছে। এ নিয়ে গ্রামবাসীর মধ্যে দেখা দিয়েছে কৌতূহল। তারা কালো ডিম দেখতে ভিড় করছেন এই দম্পতির বাড়িতে।

মাছুম মিয়া জানান, ‍প্রায় ছয় মাস আগে বাজার থেকে তিন জোড়া (ছয়টি) দেশি জাতের পাতি হাঁস কিনে আনেন তিনি। এরপর থেকে হাঁসগুলো সাদা রঙের ডিম দিচ্ছিল। গত ৯ ডিসেম্বর (সোমবার) হাঁসের খোয়াড়ে (হাঁস-মুরগি রাখার স্থান) একটি কালো ডিম দেখতে পান  তারা। সাপের ডিম ভেবে ভেঙে ফেলা হয় সেটি। পরপর আরও কয়েক দিনে তিনটি কালো ডিম পাওয়া যায় হাঁসের খোয়াড়ে। পরে হাঁসের কালো ডিম পাড়ার বিষয়টি গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে।

স্থানীয় বাসিন্দা সাইফুল জানান, “হাঁসের ডিমের রং সাধারণত সাদা হয়। আগে কখনো কালো রঙের ডিম দেখিনি। হাঁসে কালো রঙের ডিম পেড়েছে এমন খবর শুনে দেখতে এসেছি।”

জেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ডা. মো. হাবিবুর রহমান বলেন, “জেনেটিক্যালি ডিমের রং কালো হতে পারে। এতে ডিমের পুষ্টিগুণ ঠিক থাকে। এতে আতঙ্কিত বা কুসংস্কার মনে করার কিছু নেই। এর আগেও একই উপজেলার তিনটি ইউনিয়নে হাঁসের কালো ডিম পাড়ার খোঁজ পাওয়া গেছে।”