কয়েক দিন আগে চিত্রনায়ক ওমর সানীর বাসায় চুরির ঘটনা ঘটে। তার ১৩ দিনের মাথায় রাজধানীর বসুন্ধরার বাসায় ডাকাতি হয়েছে বলে অভিযোগ ওমর সানীর। রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১২টার দিকে বাসায় ঢুকে ডাকাতির বিষয়টি টের পান ‘কুল’খ্যাত এই নায়ক।
গণমাধ্যমকে ওমর সানী বলেন, “আমি কাজে বাসার বাইরে ছিলাম। রাত ১২টার পর ঘরের মেইন গেট দিয়ে ঢুকে দেখি বেডরুমে ঢুকতে পারছি না; ভেতর থেকে বন্ধ। বেডরুমের চাবিটাও ভেতরে ছিল। নানাভাবে চেষ্টার পর যখন ব্যর্থ হলাম, তখন বাড়ির কেয়ারটেকার ও আমার ম্যানেজারকে বিকল্প উপায়ে বেডরুমে ঢুকতে বলি। তারা বাইরে থেকে বারান্দায় গিয়ে দেখতে পায়, সেখানকার দরজার গ্লাস ভাঙা। এরপর বেডরুমে ঢুকে দেখে ভেতর থেকে ছিটকিনি আটকানো।”
গুরুত্বপূর্ণ কিছু কাগজপত্র পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ ওমর সানীর। বিস্তারিত জানিয়ে তিনি বলেন, “রুমের অবস্থা দেখে মনে হয়েছে বেশ কয়েকজন এসেছিল। ছিটকিনি খোলার পর বেডরুমে ঢুকে দেখি, অনেক প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট নেই। এর মধ্যে দুই কোটি টাকা প্রতারণার একটি মামলার ডকুমেন্টও যেমন আছে, তেমনি একটি আইফোন এবং আমার মেয়ের ছোটবেলার উপহারের কিছু স্বর্ণালংকারও ছিল।”
প্রতারণা মামলার কাগজ প্রসঙ্গে ওমর সানী বলেন, “আমার ছেলে ফারদিন ব্যবসা করতে গিয়ে ২ কোটি টাকা প্রতারণা শিকার হয়েছিল। এ নিয়ে একটি মামলা চলছে। সামনে এই মামলার রায় ঘোষণার কথা। এরই মধ্যে আমার বাসা থেকে অন্যসব জিনিসের পাশাপাশি মামলার অরিজিনাল সব ডকুমেন্ট নিয়ে গেছে! বেডরুমে একটি দামি ল্যাপটপও ছিল। কিন্তু সেটা নেয়নি। তার মানে এটা নিশ্চিত, যারা এসেছিল, তাদের টার্গেটই ছিল মামলার আসল ডকুমেন্ট নিয়ে যাওয়া।”
“তবে এটা তো ঠিক, আমার আইনজীবীর কাছে মামলার সব ডকুমেন্ট আছে। আমাকে অযথা হয়রানি করা ছাড়া আর কিছুই না। আমি এত সহজে দমে যাওয়ার মানুষ নই। জন্মেছি যখন মরব, আমি এসবের শেষ দেখেই ছাড়ব।” বলেন ওমর সানী।
এমন ঘটনায় বিস্মিত ওমর সানী বলেন, “এমন ঘটনায় আমি সত্যিই হতবাক! বারবার মনে হচ্ছিল, এমনটা তো শুধু ফিল্মে সম্ভব। আমি আমার বাড়িতে ফিল্মি স্টাইলে এমন ডাকাতির নজির দেখলাম!”
আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে ওমর সানী বলেন, “আমি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্বশীল সবাইকে বিষয়টি জানিয়েছি। ভাটারা থানায় মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
ওমর সানীর স্ত্রী একসময়ের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা মৌসুমী মেয়ে ফাইজাকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সিতে বসবাস করছেন। বসুন্ধরার এই বাসায় ওমর সানীর সঙ্গে তার এক সহকারী থাকেন। পুত্র ফারদীন এহসান স্বাধীন থাকেন দুবাইয়ে।