বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাংগঠনিক কার্যক্রম গতিশীল করতে ‘মিডিয়া সেল’ গঠন করা হয়েছে। আল মাসনূনকে সম্পাদক করে এই সেল গঠন করা হয়।
১৩ ডিসেম্বর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সদস্য সচিব আরিফ সোহেল এই সেলের অনুমোদন দেয়।
এতে জানানো হয়, সেল সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন আল মাসনূন। এ ছাড়াও সদস্য হিসেবে রয়েছেন নাবিল মোস্তফা, রিদুয়ান রিফাত, মুহাম্মদ রাইয়্যান ইসলাম, জাবের বিন নূর, আবু বকর সাঈম, রায়হান আহমেদ তামিম, আরাফাত নূর, মুহম্মদ ইউসুফ হোসাইন, মোস্তাফিজুর রহমান সামি, শেখ মাহিন আহমেদ, হাসনাত মাহমুদ, সাব্বির হোসাইন ও আহমেদ সামরান।
নবগঠিত মিডিয়া সেলের সদস্য রায়হান আহমেদ তামীম জানান, যৌক্তিক কোটা সংস্কার আন্দোলনে শুরু থেকেই যুক্ত ছিলাম। প্রতিদিনই আন্দোলনে যোগ দিতাম। একপর্যায়ে আন্দোলনে অংশগ্রহণ করার জন্য চাপের মুখে চাকরি থেকেও ইস্তফা দিই। ১৫-১৬ জুলাই আন্দোলন জোরাল হলে ফার্মগেট, শাহবাগ, মোহাম্মদপুরে আন্দোলনের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেই। ১৭ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল বন্ধের ঘোষণা করা হলে ওই দিন সার্জিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহর সঙ্গে একই সাথে আন্দোলনে সঙ্গে নিয়েছি। এ সময় পুলিশ ধাওয়া দেয় আমাদের। সেসময় থেকেই আন্দোলনে আরো জোরালো অংশ নিই। শেষ দিন ৫ আগস্ট আন্দোলনে অংশগ্রহণ করার সময় পুলিশ সিএনজি থেকে গ্রেপ্তার করে, কয়েক ঘণ্টা জেলহাজতেও ছিলাম। ফ্যাসিস্ট হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর জেল থেকে মুক্তি পেয়েছি।
এর আগে, গত ৫ ডিসেম্বর ৫ সদস্যবিশিষ্ট দপ্তর সেল গঠন করার কথা জানায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।