জাতীয়

বিজয় দিবস উদযাপনে শিশুরা

বাঙালি জাতির এক অবিস্মরণীয় গৌরবের দিন আজ (১৬ ডিসেম্বর) । ১৯৭১ সালের এই দিনে স্বাধীন দেশ হিসেবে রাষ্ট্রের আত্মপ্রকাশ হয়। বিজয় দিবসে বিজয়ের আনন্দ সারা দেশে চলছে। পাশাপাশি রাজধানীর পুরান ঢাকায় অলিগলিতে চলছে দিনব্যাপী অনুষ্ঠান।

সোমবার পুরান ঢাকার বংশাল, নাজিরাবাজার, আগামাছি লেন, সিক্কাটুলীসহ পুরান ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় সবার মাঝে আনন্দ ছড়িয়ে দিতে ভিন্নধর্মী বিজয় দিবসের আয়োজন দেখা গেছে। শিশুদের সাথে বিজয়ের আনন্দ ভাগাভাগি করতে এ আয়োজন। বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে তাদের মধ্যে বিজয় দিবসের তাৎপর্য ও গুরুত্ব তুলে ধরা হয়।

অনুষ্ঠানে শিশুদের আঁকা, খেলাধুলা, গানবাজনাসহ বিভিন্ন ধরনের ছবি প্রদর্শন করা হয়। ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে তারা বিভিন্ন ধরনের খেলায় মেতে উঠে। বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে তারা রং তুলিতে স্মৃতিসৌধ ও শহীদ মিনারসহ স্বাধীনতার ছবি অংকন করা হয়। অনুষ্ঠানে শিশুদের খাবার ও খাবার বিতরণ করা হয়।

অনুষ্ঠানের শেষের দিকে ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এ সময় পথে থাকা এসব শিশুদের কাছে স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস তুলে ধরেন বিভিন্ন সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবীরা। অনুষ্ঠানের শেষে শিশুদের আনন্দ দেওয়ার জন্য পুরস্কার ও গানের আয়োজন করা হয়।

সিক্কাটুলিতে কথা হয় মুসলিম যুবসংঘের সহ-সভাপতি মো. হাসিব শিবলুর সাথে। তিনি বলেন, ‘‘বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান শিশুদের জানাতে হবে। বিজয় দিবসে প্রতি বছর বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করি। এ বছরও আয়োজন করেছি। শিশুসহ সবার কাছে বিজয়ের অর্থ তুলে ধরি, স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস তুলে ধরি। আমাদের ইচ্ছা দেশের সব মানুষ স্বাধীনতার অর্থ জানুক এবং বিজয়ের আনন্দ পাক।’’

সিক্কাটুলিতে কথা হয় যুবায়ের আল হাসানের সাথে।তিনি বলেন, ‘‘আমি ছবি আঁকাসহ চারটি খেলায় অংশগ্রহণ করে তিনটি পুরস্কার পেয়েছি। প্রতি বছর এ অনুষ্ঠান হোক এটা আমার প্রত্যাশা। আজকে বিজয় দিবসের অনেক কিছু জানতে পেরেছি। আমার কাছে অনুষ্ঠান ভালো লেগেছে।’’

মুসলিম যুব সংঘের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হাজী আরমান আলী বলেন, ‘‘বিজয় দিবসসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান গত ১৫ বছর একটি সরকার ইচ্ছেমতো ইতিহাস বিকৃত করে প্রচার করেছে।সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে আজ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সবার মধ্যে বিজয়ের আনন্দ ছড়িয়ে দিতে চাই।’’