ব্লুমবার্গের ১০০ বিলিয়ন ডলারের ক্লাব থেকে ছিটকে গেলেন ভারতের শীর্ষ ধনী ব্যক্তি ও রিলায়েন্স গ্রুপের চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানি। আম্বানির পাশাপাশি এই তালিকায় ঠাঁই হয়নি আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানিরও।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এই সময় অনলাইন জানিয়েছে, ২০২৪ সালের ১৬ ডিসেম্বরে ব্লুমবার্গের তালিকা অনুযায়ী, বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তিদের তালিকার ১৭ নম্বরে রয়েছেন রিলায়েন্স চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানি। তার মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৯৬.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (যা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৮ লাখ ২২ হাজার ৯২৫ কোটি রুপি)। ওই তালিকার ১৯তম স্থানে থাকা গৌতম আদানির মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৮২.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (যা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৬ লাখ ৯৬ হাজার ৫১৭ কোটি রুপি)।
ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, ভারতীয় ধনকুবের আম্বানি এবং আদানি উভয়েই ‘এলিট সেন্টিবিলিয়নেয়ার্স ক্লাব’-এর বাইরে রয়েছেন। ওই তালিকায় যারা উপস্থিত থাকেন তাদের প্রত্যেকের মোট সম্পদ ১০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি থাকে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, আম্বানির ব্যক্তিগত সম্পদে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। কারণ, তার কোম্পানির এনার্জি ও রিটেল ব্যবসা খারাপ ফলাফল সামনে এনেছে। বিনিয়োগকারীরা আম্বানির এই সংস্থাগুলোর ক্রমবর্ধমান ঋণ এবং তার সম্পদ নিয়ে উদ্বিগ্ন।
জুলাইয়ে যখন আম্বানির ছোট ছেলে অনন্তের বিয়ে হয়, তখন তার মোট সম্পদের পরিমাণ ছিল ১২০.৮ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু বর্তমানে তা ৯৬.৭ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে।
অন্যদিকে আদানি গ্রুপ সম্প্রতি মার্কিন বিচার বিভাগের তদন্তের সম্মুখীন হয়েছে। যার প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়েছে আদানি গ্রুপের কোম্পানিগুলোর ওপর। ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার্স ইনডেক্সের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত জুন মাসে গৌতম আদানির মোট সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ১২২.৪ বিলিয়ন ডলার। যা এখন কমে ৮২.১ বিলিয়ন ডলার হয়েছে।
১০০ বিলিয়ন ডলারের ক্লাব থেকে আম্বানি ও আদানি বেরিয়ে গেলেও ব্লুমবার্গের ধনীতম ব্যক্তিদের তালিকার প্রথম ১০০ তে জায়গা করে নিয়েছেন একাধিক ভারতীয় শিল্পপতি। তাদের প্রত্যেকেরই মোট সম্পত্তির পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।
এইচসিএল টেকনোলজির কর্তা শিব নাদারের সম্পত্তির পরিমাণ গত এক বছরে ১০.৮ বিলিয়ন ডলার বেড়ে হয়েছে ৪৪.৭ বিলিয়ন ডলার। ব্লুমবার্গের তালিকার ৩৪ নম্বরে রয়েছেন তিনি। তালিকার ৩৮তম স্থানে থাকা ভারতীয় শিল্পপতি শাপুর মিস্ত্রির সম্পত্তির পরিমাণ ৪১.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ব্লুমবার্গের কোটিপতি তালিকার প্রথম ৫০-এ স্থান পেয়েছেন এই চার ভারতীয় শিল্পপতি।
এছাড়া তালিকার ৫১তম স্থানে রয়েছেন সাবিত্রী জিন্দাল, ৫৬তম স্থানে রয়েছেন আজিম প্রেমজি, ৬৪তম স্থানে রয়েছেন দিলীপ সাঙ্ঘভি, ৭৬তম স্থানে সুনীল মিত্তল এবং ১০০তম স্থানে রয়েছেন কুমার বিড়লা।
ব্লুমবার্গের তালিকার প্রথম ১৫ জনের মধ্যে ১৪ জনই আমেরিকান। একেবারে শীর্ষে রয়েছেন টেসলার ইলন মাস্ক, দ্বিতীয় স্থানে অ্যামাজ়নের জেফ বেজোস, তৃতীয় স্থানে মেটার মার্ক জাকারবার্গ, চতুর্থ স্থানে ওরাকলের ল্যারি এলিসন এবং পঞ্চম স্থানে রয়েছেন ফ্রান্সের বার্নার্ড আর্নল্ট। বিল গেটস রয়েছেন তালিকার সপ্তম স্থানে এবং ওয়ারেন বাফেট রয়েছেন দশম স্থানে।