মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার বটুলি শুল্ক স্টেশন দিয়ে ১৮ দিন পর আবারও আমদানি-রপ্তানি শুরু হয়েছে।
রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ থেকে সাতটি ট্রাকে হার্ডবোর্ড রপ্তানি এবং দুই টন সাতকরা আমদানি করার মাধ্যমে স্টেশনটির কার্যক্রম সচল করা হয়। তবে আজ সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) বিজয় দিবসে কার্যক্রম বন্ধ ছিল।
গতকাল শামিম আহমদ ও নাজমুল হাসান রিজন নামের দুই ব্যবসায়ী তুলা ও হার্ডবোর্ড পণ্য রপ্তানি করতে সক্ষম হন। ভারত থেকে সাতকরা আমদানি হয়।
বটুলি শুল্ক স্টেশনের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা পীযূষ বিশ্বাস জানান, সীমান্তের ওপারে ভারতে স্থানীয় ইসকন সংগঠনের বিক্ষোভের জেরে গত ২৭ ও ২৮ নভেম্বর থেকে বটুলিসহ পার্শ্ববর্তী কুলাউড়া উপজেলার চাতলাপুর শুল্ক স্টেশন দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। তবে দুটি শুল্ক স্টেশনের ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে যাত্রীদের যাতায়াত অব্যাহত রয়েছে।
মেসার্স আবুল কালামের মালিক শামিম আহমদ বলেন, “দুই দেশের ব্যবসায়ীদের সাথে আলাপ-আলোচনা করে আমদানি-রপ্তানি চালু করা গেছে। আশাকরি আমাদের সীমান্তে সমস্যা হবে না। তারপরও কিছু ঝুঁকি থেকেই যায়।”
সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা পীযূষ বিশ্বাস বলেন, “গত ১৪ ডিসেম্বর সীমান্তের ওপারের (ভারতের) রাঘনা বাজার শুল্ক স্টেশনের কর্মকর্তারা আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে কোনো বাধা নেই বলে সংকেত দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল থেকে পুনরায় আমদানি-রপ্তানি চালু হয়। বটুলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে শুধু ভারতীয় নাগরিকেরা যাতায়াত করতে পারেন। বাংলাদেশিরা এ চেকপোস্ট দিয়ে ভারত ভ্রমণের ভিসা পান না। আমদানি-রপ্তানি এত দিন বন্ধ থাকলেও যাত্রীদের যাতায়াতে কোনো ব্যাঘাত ঘটেনি।”