ইসরায়েলে আবারও হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার দাবি করেছে ইয়েমেনের হুতি যোদ্ধারা। এ হামলাকে ‘সফল’ বলেও দাবি করেছে তারা। তবে ইসরায়েল বলেছে, তারা ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ইসরায়েল সীমান্তে প্রবেশের আগেই ভূপাতিত করেছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, গতকাল সোমবার এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। এখনো কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
হুতিরা জানিয়েছে, তারা গাজায় ইসরায়েলের ‘হত্যাযজ্ঞের’ প্রতিক্রিয়ায় এই হামলা চালিয়েছে। গাজায় যুদ্ধ বন্ধ না করা পর্যন্ত ইসরায়েলকে লক্ষ্য এ ধরনের হামলা অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে তারা।
হুতিদের মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি গতকাল স্থানীয় টেলিভিশনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ইসরায়েলের মধ্যাঞ্চল লক্ষ্য করে ‘ফিলিস্তিন ২’ নামের হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে।
এদিকে হুতিদের হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা সম্পর্কে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলেছে, ইয়েমেন ভূখণ্ড থেকে ছোড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র ইসরাইলের আকাশ সীমায় ঢোকার আগে ভূপাতিত করা হয়েছে।
দেশটির এক মুখপাত্র বলেন, ‘ক্ষেপণাস্ত্র ও রকেট হামলা নিয়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। কারণ তা ঠেকাতে গিয়ে (ক্ষেপণাস্ত্রের) টুকরো টুকরো অংশ পড়ার শঙ্কা ছিল।’ ইসরায়েলি গণমাধ্যম জানিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্র সতর্কতা তেল আবিবজুড়ে জারি করা হয়েছিল।
হুতিরা নিজেদের হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ‘সফলতার সঙ্গে লক্ষ্য অর্জন’ করেছে বলে দাবি করেছে। কিন্তু এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি।
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে গত বছরের নভেম্বর থেকে ইয়েমেনের হুতি গোষ্ঠী লোহিত সাগরে ইসরায়েল ও পশ্চিমা সংশ্লিষ্ট জাহাজগুলোতে প্রায় ১০০টি হামলা চালিয়েছে। হুতিরা দুটি জাহাজ ডুবিয়েছে, আরেকটি আটক করেছে এবং অন্তত চারজন নাবিককে হত্যা করেছে। এছাড়া ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে মাঝেমধ্যে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় গোষ্ঠীটি।
গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় নিহতের সংখ্যা ৪৫ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। আহত হয়েছেন এক লাখের বেশি মানুষ।
হুতিদের মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারি বলেছেন, তাদের যোদ্ধারা নিপীড়িত ফিলিস্তিনি জনগণের বিজয় এবং প্রিয় ইয়েমেনের প্রতিরক্ষায় তাদের জিহাদি দায়িত্ব পালন চালিয়ে যাবে।