দেহঘড়ি

শীতকালে অ্যাজমা ও অ্যালার্জি নিয়ন্ত্রণে যা যা করতে হবে

শীতকালে আবহাওয়ার ধরন পাল্টায়। এই সময়ে সর্দি, কাশি, হাঁচি, শ্বাসকষ্টের মতো অসুবিধাগুলো দেখা দেয়। বিশেষ করে অ্যালার্জি ও অ্যাজমার সমস্যা বেড়ে যায়। শীতকালে অ্যাজমা রোগীদের ঘরে-বাইরে বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলা উচিত।

ডা. মোহাম্মদ আশিক ইমরান খান, বক্ষব্যাধি ও মেডিসব বিশেষজ্ঞ জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল বলেন ‘‘ যারা অ্যাজমা রোগী আছেন তাদের বাসায় এবং বাসার বাইরে বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। এই রোগীরা বাসায় কবুতর পালতে পারবেন না। কোনো পাখি বা পশু যেমন কুকুর, বিড়াল পালতে পারবেন না। যাদের অ্যাজমা বা অ্যালার্জি জনিত সমস্যা আছে তারা এই ধরনের পোষা প্রাণী থেকে একটু দূরে থাকাই ভালো।’’

‘‘বাসায় কার্পেট রাখা যাবে না। বাসায় পুরনো ধুলাবালি ঝাড়ার সময় ভালো করে নাক, মুখ ঢেকে নেবেন। সম্ভব হলে চোখে চশমা দিয়ে ধুলো বালি পরিষ্কার করতে হবে। কারণ ধুলোবালি নামে, মুখে এবং চোখে প্রবেশ করলে অ্যালার্জি বাড়ে এরপর অ্যাজমা বেড়ে যায়। অ্যাজমা বেড়ে গেলে হঠাৎ করে শ্বাসকষ্ট শুরু হয়ে যেতে পারে। হলুদ, মরিচ গুঁড়া করার সময় নাক, মুখ ঢেকে নিতে হবে। কারণ হলুদ, মরিচের গুঁড়া নাকে প্রবেশ করলে অ্যাজমা বাড়িয়ে তুলতে পারে।’’— যোগ করেন ডা. মোহাম্মদ আশিক ইমরান।

এই চিকিৎসক আরও বলেন, ‘‘কিছু কিছু ব্যথার ওষুধ সেবনের কারণেও অ্যাজমা বাড়তে পারে। বিশেষ কোনো ওষুধ সেবনের পরে অ্যাজমা বেড়ে গেলে চিকিৎসককে জানাতে হবে। কারণ ওষুধ পরিবর্তন করা লাগতে পারে। অ্যাজমা রোগীরা ঘরের বাইরে যাওয়ার সময় অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করবেন। মাস্ক অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।’’