সারা বাংলা

জমি নিয়ে বিরোধে শিশু ইব্রাহিম হত্যা: পুলিশ 

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার কুশিউরা গ্রামের ৭ বছর বয়সী শিশু ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এ হত্যা মামলায় বেদেনা খাতুন নামে এক নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকালে রাইজিংবিডিকে এ তথ্য জানিয়েছেন দোয়ারাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহিদুল।

নিহত শিশু ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ দোয়ারাবাজার উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের কুশিউরা গ্রামের ইদ্রিস আলী ছেলে। গ্রেপ্তার বেদেনা খাতুন (৩৪) একই গ্রামের মো. জিয়ার স্ত্রী। তিনি সম্পর্কে নিহত শিশু ইব্রাহিমের বাবা ইদ্রিস আলীর মামি। 

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ৭ ডিসেম্বর বিকালে ইব্রাহিম গ্রামের একটি উঠানে সহপাঠীদের সঙ্গে লুকোচুরি খেলছিল। সেখান থেকে সে নিখোঁজ হয়। পরিবারের লোকজন তাকে খোঁজাখুজি শুরু করেন। এলাকার আশপাশ অনেক খোঁজাখুজির পরও তার সন্ধান না পেয়ে ৮ ডিসেম্বর তার বাবা দোয়ারাবাজার থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। 

থানায় সাধারণ ডায়েরির পর দোয়ারাবাজার থানা পুলিশ ইব্রাহিমকে উদ্ধারের অভিযানে নামে। তার পরের দিন ৯ ডিসেম্বর সকালে গ্রামের তাইজ উদ্দিনের পরিত্যক্ত ঘরে ইব্রাহিমের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ইব্রাহিমের শরীরের আঘাতের চিহ্ন ছিল।

ইব্রাহিমের বাবা ইদ্রিস আলী বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। একপর্যায়ে বেদেনা খাতুনকে (৩৪) হত্যায় জড়িত সন্দেহে গত ১৫ ডিসেম্বর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দোয়ারাবাজার থানায় নেওয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তিনি স্বীকার করেন, দুই মাস আগে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধে বেদেনা খাতুন ও তার স্বামীকে ইব্রাহিমের পরিবার মারধর করতে উদ্যত হয়। এ ঘটনার জের ধরে ইব্রাহিমকে হত্যার পরিকল্পনা করতে থাকেন বেদেনা খাতুন। পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ৭ ডিসেম্বর বিকাল ৪টায় ইব্রাহিম খেলাধুলা করা অবস্থায় কৌশলে তাকে গেঞ্জি দিয়ে মুখ বেঁধে এবং রশি দিয়ে হাত-পা বেঁধে বেদেনা খাতুন পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে যায়। পরে ইব্রাহিমকে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম ও গলাটিপে প্রাণে হত্যা করেন বেদেনা খাতুন।  

দোয়ারাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহিদুল হক রাইজিংবিডিকে বলেন, বেদেনা খাতুনকে হত্যা মামলায় আদালতে সোপর্দ করার পর তিনি দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। পুলিশ তদন্ত করে পেয়েছে এ ঘটনায় অন্য কেউ জড়িত নেই।