আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে আনা হবে কি না, এমন প্রশ্ন ছুঁড়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেছেন, “গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া একটা বড় অংশ চাইছে না আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিক। তারা চাইছে, সব বিচার শেষ করে নির্বাচন হবে। অনেক দিক থেকে অনেক প্রশ্ন আছে। সুতরাং, আমদের শুধু আজকে আর কালকে ভাবলে হবে না। আজ থেকে ১০/২০ কিংবা ৫০ বছর পর কী হবে সে কথাও ভাবতে হবে।”
তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ যদি নির্বাচনে আসে তাহলে নির্বাচনের মাঠের পরিবেশ কী হবে? মারামারি ও রক্তপাতের দিকে বাংলাদেশ যাবে কিনা এমন প্রশ্ন সবার মনে আছে, কেউ মুখে বলছে না। সুতরাং, এই প্রশ্নগুলো নিয়ে আলাপ-আলোচনা হওয়া উচিত। এই প্রশ্নগুলোর সুরাহা বা সমাধান এই আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়েই হওয়া উচিত।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি।
রুমিন ফারহানা বলেন, “আমরা দেখেছি একটা অর্থনৈতিক স্থবিরতা। আমরা লক্ষ্য করছি, দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ কিন্তু সেভাবে হচ্ছে না। কারণ বিনিয়োগের জন্য একটা স্থিতিশীল পরিবেশ প্রয়োজন। ব্যবসায়ীরা বিনিয়োগ করবে তখনই, যখন দেশে স্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করে। তাই সেই দিক থেকে চিন্তা করলে নির্বাচিত সরকারের কোনো বিকল্প নেই। সুতরাং আমরা আশা করব, এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আমাদেরকে একটি রোডম্যাপ দেবে, কি কি সংস্কার কত দিনের মধ্যে সম্পন্ন করে মানুষের ক্ষমতা তারা মানুষের কাছে ফিরিয়ে দেবে, এটা আমাদের প্রত্যাশা।”
তিনি আরো বলেন, “প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের মাধ্যমে আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা পেয়েছি নির্বাচন কবে হচ্ছে। এটি একটি ভালো খবর। আমরা আরো বেশি আনন্দিত হতাম এবং আশ্বস্ত হতাম, দেশের মানুষও আশ্বস্ত হতো রোডম্যাপটি কি হতে পারে, কবে নির্বাচন নিয়ে ভাবছেন যদি তারা (অন্তর্বর্তীকালীন সরকার) একটু পরিষ্কার করতেন।”
রুমিন ফারহানা বলেন, “আপনারা জানেন, ৫ আগস্টের পর থেকে নানা মহল বিভিন্ন রকম ষড়যন্ত্রে ব্যস্ত। তারা এই সরকারকে একদিনের জন্য শান্তিতে দেশ পরিচালনা করার সুযোগ দিতে রাজি না। সেই জায়গা থেকে আমরা বিশ্বাস করি, দেশের মানুষও বিশ্বাস করে- একটি নির্বাচিত সরকার যত সহজে এ ধরনের অস্থিতিশীলতা বা সমস্যা মোকাবিলা করতে পারে, আর কোনো সরকারের পক্ষে তা মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। সুতরাং, দেশ ও মানুষের স্বার্থে নির্বাচন যত দ্রুত সম্ভব আয়োজন হলে তা সবার জন্য মঙ্গলজনক হবে।”
এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ.বি.এম. মমিনুল হক, জেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক মনির হোসেন ও বিএনপি নেতারা।