দেহঘড়ি

কেমন মোজা পরা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো

অনেকের শরীরে রক্ত সঞ্চালনে সমস্যা থাকে। তারা মোজা পরলে পা ফুলে যেতে পারে। আবার শিশুদের ক্ষেত্রে বাতাস অপরিবাহী মোজা পরলে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। কিন্তু এই শীতে বিশেষ করে যেসব নারী মেনোপজের পর্যায়ে রয়েছেন তাদের শরীরে হঠাৎ তাপমাত্রা কমে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়। চিকিৎসকেরা বলছেন, মোজা পরা থাকলে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকতে পারে। শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য কেমন মোজা পরা ভালো সেই বিষয়ে জেনে নিন। 

বারডেম জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. কামরুজ্জামান নাবিল গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, নারীর মেনোপজের সময় (পিরিয়ড বন্ধ হয়ে গেছে এমন) রাতে আকষ্মিক শরীরে অতিরিক্ত তাপ অনুভব করতে পারেন। এই সময় শরীর ঘামতে পারে। পায়ে মোজা থাকলে শরীর উষ্ণ থাকে। ফলে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকতে পারে। তবে অতিরিক্ত টাইট মোজা পরলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন কমে যেতে পারে। মোজা বাতাস চলাচলের উপযোগী হওয়া প্রয়োজন। বাতাস চলাচলের অনুপযোগী হলে শরীরের তাপকে শরীর থেকে বের হতে বাধা দেবে। এতে শরীর অতিরক্ত গরম হয়ে যেতে পারে। মোজা পরলে অবশ্যই পরিষ্কার মোজা পরতে হবে। নোংরা মোজা পরলে সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়। 

গবেষকেরা বলছেন, শীতে শিশুদের পায়ে নরম, প্রাকৃতিক এবং বাতাস চলাচল করতে পারার মতো উপাদানে তৈরি ঢিলেঢালা মোজা দেওয়া যেতে পারে। যেমন তুলার মোজা।  শিশুকে টাইট ইলাস্টিক টপসসহ মোজা দেওয়া যাবে না। টাইট মোজা পরালে শিশুর শরীরের রক্ত প্রবাহ কমে যেতে পারে। ঘুমানোর সময় শিশুর পায়ে মোজা না দেওয়াই ভালো। এ ছাড়া যাদের শরীরে রক্ত সঞ্চালনের সমস্যা আছে তাদেরও মোজা পরে ঘুমাতে যাওয়া উচিত নয়।

ভারতীয় গণমাধ্যমের তথ্য, দীর্ঘক্ষণ পায়ে মোজা পরে থাকলে পায়ের চামড়া ঘেমে যেতে পারে। এবং ত্বকে সংক্রমণ হতে পারে। বিশেষ করে নাইলনের মোজা পরলে বেশি সমস্যা দেখা দিতে পারে। ত্বকের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে বিশেষজ্ঞরা সব সময়ে সুতি মোজা পরার পরামর্শ দেন। এ ছাড়াও দীর্ঘক্ষণ মোজা পরে থাকলে ত্বকে র‌্যাশ হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়।

মোজা পরা ছাড়াও যে যে উপায়ে পা গরম রাখা যায় সরিষার তেল বা অলিভ অয়েল হালকা গরম করে পায়ের তলায় মালিশ করতে পারেন। পায়ের পাতায় গরম পানির সেঁক দিতে পারেন। ‘হট প্যাড’ গরম করেও পায়ে সেঁক দিতে পারেন।