প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেছেন, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের তুলনায় অন্তর্বর্তী সরকারের আগস্ট-নভেম্বর পর্যন্ত সময়ে রেমিট্যান্স ২৬ শতাংশ বেড়েছে।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস এবং জাতীয় প্রবাসী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ তথ্য জানান।
প্রবাসীদের সমস্যার সমাধানে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “প্রবাসীদের সব সমস্যা সমাধানে কার্যক্রম শুরু হয়েছে, যা দ্রুত বাস্তবায়ন হবে। ইউরোপে দক্ষ শ্রমিক পাঠানোর উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে।”
সরকার বিদেশগামী কর্মীদের অভিবাসন ব্যয় কমানোর চেষ্টা করছে জানিয়ে তিনি বলেন, “কর্মসংস্থানের প্রধানতম চ্যালেঞ্জ হলো অভিবাসন ব্যয় কমানো। আমরা এক্ষেত্রে চেষ্টা করছি। তবে আপনারা জানেন কিছু রিক্রুটিং এজেন্সি ভালো কাজ করলেও অনেকের লক্ষ্য থাকে কত বেশি মানুষকে ঠকানো যায়। গত সরকারের আমলে এই ধরনের রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।”
অভিবাসন ব্যয় কমানোর উদ্যোগ তুলে ধরে আসিফ নজরুল বলেন, “আমাদের এখানে ডিমান্ডের তুলনায় সাপ্লাই বেশি (ওয়ার্কার)। যে কারণে ব্যয় বেড়ে যায়। তবে আমরা সাব-এজেন্টদের দায় দায়িত্ব নিরূপণের চেষ্টা করছি।”
আসিফ নজরুল বলেন, “এই খাতের চ্যালেঞ্জ অল্প সময়ে মোকাবিলা সম্ভব নয়। তবে আমরা বিভিন্ন রকম উদ্যোগ নিয়ে কাজ করছি।”
প্রবাসীদের দেশের জন্য অবদান স্মরণ করে উপদেষ্টা বলেন, “বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় প্রবাসীরা দেশের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন এবং তাদের অনেককে জেলেও যেতে হয়েছিল। প্রবাসীরা অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন।”
তিনি আরও বলেন, “প্রবাসীদের কষ্টার্জিত অর্থ বিদেশে পাচার হলে আমাদের অত্যন্ত কষ্ট হয়। অনেকেই ইসলামী ব্যাংক থেকে রেমিট্যান্স পাঠান, তবে দুঃখজনকভাবে এই ব্যাংক ফ্যাসিস্ট সরকারের দ্বারা দখল করে লুটপাট করা হয়েছে।”
পাসপোর্ট সমস্যা ও প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিয়ে ড. আসিফ নজরুল বলেন, “পাসপোর্ট বিষয়টি আমাদের মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত নয়, তবে আমরা তাতে সহযোগিতা করতে চেষ্টা করবো। প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব, তবে আমরা যতটুকু সম্ভব সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।”