বিনোদন

কার প্রেমে হাবুডুবু খেয়েছেন শাবনূর?

নব্বই দশকের শুরুতে রুপালি জগতে পা রাখেন চিত্রনায়িকা শাবনূর। একসময় তাকে নিয়ে স্বপ্নের সুতো বুনতেন অসংখ্য তরুণ। সহশিল্পীকে জড়িয়ে তার প্রেমের গুঞ্জন শোনা গেছে। কিন্তু শাবনূরও কি কারো প্রেমে হাবুডুবু খেয়েছেন? এ প্রশ্নের উত্তর হলো— ‘হ্যাঁ।’

এ বিষয়ে শাবনূর বলেন, “দেশের বাইরের তারকাদের মধ্যে টম ক্রুজ আমার সবচেয়ে বেশি পছন্দের। লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও আছেন সেই পছন্দের তালিকায়। তারা যে আমার ক্রাশ, এটা আমার পরিবারের সবাই জানে। আমার স্কুলপড়ুয়া ছেলেও এটা জানে।”

লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিওকে পছন্দের কারণ ব্যাখ্যা করে শাবনূর বলেন, “টাইটানিক” দেখার পর লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও আমার ক্রাশ। মনে মনে লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিওর নায়িকা হতে না চাইলেও ভালো লাগত আরকি! চকলেট বয় টাইপ ছিল তো! এই টাইপের হিরোরা বরাবরই আমার পছন্দ।”

চলচ্চিত্রে অভিনয়ের ক্ষেত্রে ‘চকলেট বয়’ টাইপের নায়কদের বেছে নেওয়ার কথা জানিয়ে শাবনূর বলেন, “আমি সবসময় চকলেট বয়দের সঙ্গে কাজ করছি। খুঁজে খুঁজে চকলেট বয় হিরোদের সঙ্গে কাজ করছি। আমার নায়কদের তালিকা দেখলেও তা বোঝা যাবে। যেমন: আমার বেশির ভাগ সিনেমার নায়ক সালমান শাহ, ফেরদৌস, রিয়াজ, শাকিব— সবাই চকলেট বয়। আমার সব হিরোই চকলেট বয় টাইপের।”

বুড়ো হয়ে গেলেও টম ক্রুজের সঙ্গে দেখা করতে চান শাবনূর। তার ভাষায়, “তরুণী থাকতেই মধুমিতায় টম ক্রুজের “মিশন ইম্পসিবল” দেখেছিলাম। এই সিনেমা দেখেই টম ক্রুজের প্রেমে পড়ে যাই।বুড়ো হয়ে গেলেও একবার টম ক্রুজের সঙ্গে দেখা করতে চাই। আমার ছেলেও বলছে, সে বড় হলে আমাকে আমেরিকা নিয়ে যাবে; টম ক্রুজের সঙ্গে দেখা করিয়ে দেবে। আমিও অধীর আগ্রহে আছি টম ক্রুজের সঙ্গে দেখা করার। সামনাসামনি টম ক্রুজের দেখা পেলে একগুচ্ছ গোলাপ দেব।”

১৯৯৩ সালের ১৫ অক্টোবর নির্মাতা এহতেশাম পরিচালিত ‘চাঁদনী রাতে’ সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক ঘটে শাবনূরের। তারপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি এই নায়িকাকে। ধারাবাহিকভাবে উপহার দিয়েছেন সুপারহিট সব সিনেমা।

প্রয়াত নায়ক সালমান শাহর সঙ্গে জুটি বেঁধে দারুণ জনপ্রিয়তা লাভ করেন শাবনূর। ‘তুমি আমার’, ‘সুজন সখী’, ‘স্বপ্নের ঠিকানা’, ‘স্বপ্নের পৃথিবী’, ‘তোমাকে চাই’, ‘আনন্দ অশ্রু’-এর মতো জনপ্রিয় সিনেমায় জুটি বেঁধে অভিনয় করেন তারা। মোট ১৪টি সিনেমায় দেখা গেছে এই তারকা জুটিকে।