আইন ও অপরাধ

অবৈধ সম্পদ: জিয়াউল আহসানের বিরু‌দ্ধে অনুসন্ধানে দুদক

ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালক জিয়াউল আহসানের বিরু‌দ্ধে ক্ষমতার অপব‌্যবহার ও অনিয়ম দুর্নী‌তির মাধ‌্যমে অবৈধ সম্প‌দ অর্জ‌নের অভিযোগ উঠেছে। ‌নি‌জের না‌মে ও প‌রিবা‌র, আত্মীয় স্বজনসহ না‌মে বেনা‌মে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও বি‌দে‌শে পাচা‌রের অভিযোগ র‌য়ে‌ছে। এসব অভিযোগ আম‌লে নি‌য়ে জিয়াউল আহসা‌নের বিরু‌দ্ধে অনুসন্ধা‌নের সিদ্ধান্ত সি‌য়ে‌ছে দুর্নী‌তি দমন ক‌মিশন।

অভিযোগ অনুসন্ধানে তিন সদস্যের অনুসন্ধান টিমও গঠন করা হয়েছে।

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) বিষয়টি জানিয়েছেন দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন।

এর আগে গত ১৯ জিয়াউল আহসান তার স্ত্রী-সন্তান এবং তাদের মালিকানাধীন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবের লেনদেন স্থগিত করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

১৯৯১ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কমিশন পাওয়া জিয়াউল সেনাবাহিনীর একজন প্রশিক্ষিত কমান্ডো ও প্যারাট্রুপার ছিলেন। ২০০৯ সালে মেজর থাকাকালে তিনি র‌্যাব-২ এর উপ-অধিনায়ক হন। সেই বছরই তিনি পদোন্নতি পেয়ে লেফটেন্যান্ট কর্নেল হন এবং র‌্যাব সদরদপ্তরের গোয়েন্দা শাখার পরিচালকের দায়িত্ব পান। র‌্যাবে দায়িত্ব পালনের সময় থেকেই জিয়াউল আহসান হয়ে উঠেছিলেন গণমাধ্যমে পরিচিত নাম।

কর্নেল পদে পদোন্নতি পাওয়ার পর ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে অতিরিক্ত মহাপরিচালক করে তাকে র‌্যাবেই রেখে দেওয়া হয়। আর ২০১৬ সালে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হিসেবে পদোন্নতি দিয়ে জিয়াউল আহসানকে পাঠানো হয় জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) পরিচালকের দায়িত্বে।২০১৭ সালে এনটিএমসির পরিচালক করা হয় জিয়াউল আহসানকে। ২০২২ সালে সংস্থাটিতে মহাপরিচালক পদ সৃষ্টির পর তাকেই সংস্থাটির নেতৃত্বে রাখা হয়েছিল।

দুদ‌কের মহাপ‌রিচালক আক্তার হোসেন জানান, জিয়াউল আহসানের বিরু‌দ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার ও অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়াসহ অর্থপাচারের অভিযোগ রয়েছে।এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কমিশম এ বিষয়ে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।