দেশের প্রথম পরমাণু নির্ভর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের অবকাঠামো নির্মাণ ও যন্ত্রাংশ স্থাপনের কাজ শেষ হয়েছে। প্রথম ইউনিটের চূড়ান্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করতে প্রকল্পের কর্মীরা পরীক্ষা কার্যক্রম শুরু করেছেন।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) প্রকল্প বাস্তবায়নকারী রাশিয়ান রাষ্ট্রায়ত্ত্ব প্রতিষ্ঠান রোসাটম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
রোসাটম জানায়, বুধবার রিঅ্যাক্টর প্ল্যান্টটিকে নির্ধারিত প্যারামিটারে আনার জন্য প্রথম পর্যায়ের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এই পর্যায়ে সরঞ্জাম এবং প্রক্রিয়ার কার্যক্ষমতা পরীক্ষা করা হবে। চুল্লি কুল্যান্ট পাম্প প্রথমবারের জন্য চালু এবং পরীক্ষা করা হবে। পারমাণবিক জ্বালানী ছাড়াই নির্ধারিত প্যারামিটারে চুল্লি প্ল্যান্ট পরীক্ষা করা হবে। নির্ধারিত নকশা ও পরিমিতি অনুযায়ী যন্ত্রাংশ ঠিকঠাক কাজ করলে প্রথম ইউনিট চুড়ান্ত বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রস্তুত হবে।
রোসাটমের উপ-মহাপরিচালক আন্দ্রে পেট্রোভ প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে বলেন, “আমরা প্রথম ইউনিট স্টার্ট-আপের জন্য চূড়ান্ত প্রস্তুতিতে প্রবেশ করেছি। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়, যার অধীনে আমাদের অবশ্যই সমস্ত অপারেটিং মোডে প্রক্রিয়া সিস্টেমের কার্যকারিতা প্রমাণ করার জন্য একটি বড় পরিসরের কাজ এবং পরীক্ষা চালাতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা আমাদের সমস্ত বাধ্যবাধকতা পূরণ করি এবং আমাদের প্রযুক্তির নির্ভরযোগ্যতা এবং নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিই। বাংলাদেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করবে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য কাজ করবে।”
এ বিষয়ে রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালক ড. জাহেদ উল হাসান বলেন, “চূড়ান্ত স্টার্ট আপের আগে অনেকগুলো পরীক্ষা আমাদের করতে হবে। এতে প্রায় এক মাস সময় লাগবে। পরীক্ষা শেষে সব কিছু ঠিকঠাক কাজ করলে ফুয়েল লোডিংয়ের প্রক্রিয়া শুরু হবে। এই সময়ের মধ্যে আন্তর্জাতিক আনবিক শক্তি সংস্থার পর্যবেক্ষক দলের পরিদর্শন ও পুরো কার্যক্রমের চূড়ান্ত অনুমোদন পেলে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে।”