ভারতের মুম্বাই উপকূলে একটি যাত্রীবাহী লঞ্চে স্পিডবোটের ধাক্কায় ১৩ জন নিহত হয়েছেন।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) মুম্বাই উপকূল থেকে নীলকমল নামের ওই লঞ্চে ধাক্কা দেয় ভারতের নৌবাহিনীর একটি স্পিডবোট। গেটওয়ে অব ইন্ডিয়া থেকে এলিফ্যান্টা আইল্যান্ডের দিকে যাচ্ছিল লঞ্চটি। রওনা হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই দুর্ঘটনা ঘটে।
লঞ্চে ছিলেন ৮০ জন যাত্রী এবং পাঁচজন কর্মী। দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পরেই উদ্ধারকাজ শুরু করে নৌবাহিনী ও উপকূলরক্ষীবাহিনী।
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীস বলেন, লঞ্চ দুর্ঘটনায় ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। লঞ্চে মোট ৮৫ জন আরোহী ছিলেন, যাদের মধ্যে পাঁচজন কর্মী এবং ৮০ জন যাত্রী। নিহতদের মধ্যে দশজন সাধারণ নাগরিক এবং তিনজন নৌবাহিনীর সদস্য।
এলিফ্যান্টা গুহার কাছেই লঞ্চটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। স্থানীয় মাছ ধরার লঞ্চ, নৌসেনা এবং উপকূলরক্ষী বাহিনীর সাহায্যে দুর্ঘটনাকবলিত লঞ্চ থেকে আরোহীদের উদ্ধার করা শুরু হয়।
দুর্ঘটনার সময়ের একটি ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে, যাতে দেখা যাচ্ছে একটি লঞ্চ আরব সাগরে ডুবে যাচ্ছে। ডুবন্ত লঞ্চের মধ্যে লাইফ জ্যাকেট পরা অনেক মানুষের ভিড়। লঞ্চের বেশিরভাগ অংশই ততক্ষণে ডুবে গেছে। যে অংশটুকু পানির ওপরে রয়েছে, সেখানে আতঙ্কিত যাত্রীরা কোনো রকমে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। পাশেই একটি স্পিড বোট এবং অপর দুটি তরীতে তাদের উদ্ধারের চেষ্টা করা হচ্ছে। ছিল একটি তুলনামূলক বড় আকারের জাহাজও। একে একে যাত্রীদের উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে নৌসেনা এবং উপকূলরক্ষী বাহিনী।
মুম্বাই শহরের অদূরেই আরব সাগরের বুকে এলিফ্যান্টা দ্বীপে রয়েছে পাহাড় কেটে তৈরি একগুচ্ছ গুহা। প্রত্নতাত্ত্বিক গুরুত্বের জন্য এটি মুম্বাইয়ের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটনস্থলও। এলিফ্যান্টা গুহা দেখতে যাওয়ার জন্য লঞ্চ পাওয়া যায় মুম্বইয়ের গেটওয়ে অব ইন্ডিয়ার সামনে থেকে। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি পর্যটকেরাও এই লঞ্চগুলো ব্যবহার করেন।