বিনোদন

পোস্টার ছিঁড়ে ক্ষমা চাইলেন মেহজাবীন, কেন?

নিজের প্রথম সিনেমা ‘প্রিয় মালতী’র প্রচারণায় গিয়ে চরম বিতর্কে মুখে পড়েছেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী। আগামী ২০ ডিসেম্বর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে যাচ্ছে সিনেমাটি।

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সিনেমার মুক্তিকে কেন্দ্র করে প্রচারণায় বের হন অভিনেত্রী মেহজাবীন। বিকেলে টিএসসিতে হাজির হয়ে সেখানকার বিভিন্ন দেয়ালে নিজের ‘প্রিয় মালতী’ সিনেমার পোস্টার সাঁটাতে থাকেন তিনি।

একপর্যায়ে টিএসসির ডাসের দেয়ালে ২০১৬ সালে ধর্ষণের পর হত্যাকাণ্ডের শিকার সোহাগী জাহান তনুর গ্রাফিতির ওপর পোস্টার সাঁটিয়ে দেন তিনি। বিষয়টি ফেসবুকে দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায়। সেখানে তার ভক্ত-অনুরাগীদের চরম সমালোচনা করতে দেখা যায়।

এদিকে, এ ঘটনার পরপরই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক রিফাত রশীদ ক্ষোভ প্রকাশ করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন।

মেহজাবীনকে দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাইতে বলে সেখানে তিনি লেখেন, “আমার শহীদ বোন তনুকে চেনেন না মেহজাবীন? কার গ্রাফিতির উপর নিজের খোমাওয়ালা পোস্টার লাগাইছেন? চিনবেন কেমনে? আপনাগো সো কল্ড কালচারাল পাড়ায় আমার বোনেরে নিয়ে কথা হয় কি?”

নিজের ওই পোস্টের কমেন্ট বক্সে এ সমন্বয়ক ঘোষণা দিয়ে বলেন, “টিএসসিতে আমরা এই পোস্টার ছিড়বো না মেহজাবীন চৌধুরী। আপনি নিজে এসে এই পোস্টার ছিড়বেন।”

সমন্বয়কের এ ঘোষণার কিছুক্ষণ পরই টিএসসিতে হাজির হয়ে নিজ হাতে ডাসের দেয়ালে গ্রাফিতির ওপর সাঁটিয়ে দেওয়া ‘প্রিয় মালতী’ সিনেমার পোস্টার ছিঁড়ে ফেলেন মেহজাবীন। এরপর নিজের ভেরিফাইড ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে পুরো ঘটনার ব্যাখা করেন তিনি। ওই স্ট্যাটাসে পোস্টার ছেঁড়ার পর বর্তমান চিত্রের ছবিও শেয়ার করেছেন তিনি।

সেখানে মেহজবীন বলেন, “‘প্রিয় মালতী’ চলচ্চিত্রের প্রচারণার জন্য একটি টিম আজ (১৮ ডিসেম্বর) টিএসসিতে গিয়েছিলাম। অনেক দর্শক আমাদের সঙ্গে যোগ দেন। চলচ্চিত্রের প্রচারণায়, প্রচণ্ড ভিড় ও অনিবার্যকারণবসত পোস্টারিংয়ের ক্যাম্পেইনটি দ্রুত শেষ করতে হয়।”

ঘটনাটি অনাকাঙ্খিত ও ভুলবশত দাবি করে তিনি বলেন, “ভুলবশত ও অনাকাঙ্খিত অব্যস্থাপনায় একটি পোস্টার মরহুমা সোহাগী জাহান তনুর গ্রাফিতির উপরে লাগানো হয়ে যায়। আমরা সবাই জানি তনুর মর্মান্তিক ঘটনা এবং তার হত্যার ন্যায়বিচারের জন্য লড়াই এখনও চলমান। পোস্টারিং সংক্রান্ত  যা হয়েছে সেটা সম্পূর্ণ অনিচ্ছাকৃত ভুল ছিল। আমরা তৎক্ষণাৎ সেই পোস্টারগুলো সরিয়ে ফেলেছি এবং দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করেছি।”

ক্ষমা চেয়ে মেহজবীন বলেন, “আমাদের চলচ্চিত্র, আমরা এবং আমাদের সংগ্রামের মূল লক্ষ্যই ন্যায়বিচারের জন্য লড়াই। এটি আমাদের হৃদয় থেকে আসে। আমরা আশা করি, আমাদের অনিচ্ছাকৃত অব্যাবস্থপনাটুকু ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। ধন্যবাদ আপনাদের সকল সহযোগিতার জন্য।”