জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিক এ টি এম তুরাবকে গুলি করে হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত উপ-কমিশনার সাদেক কাওসার দস্তগীরকে থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেলে শেরপুর থেকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সিলেটের একটি দল তাকে গ্রেপ্তার করে।
পিবিআই সিলেটের বিশেষ পুলিশ সুপার খালেদ-উজ-জামান তার গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বিকেলে তাকে পিবিআই গ্রেপ্তার করে। বর্তমানে তাকে সিলেটে নিয়ে আসা হচ্ছে। তাকে নিয়ে আসার পরে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে আদালতে তোলা হবে।
৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর গত ১৯ আগস্ট সিলেটের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক আব্দুল মোমেনের আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের ভাই আবুল হাসান মো. আজরফ (জাবুর)।
মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (ক্রাইম, উত্তর) মো. সাদেক দস্তগীর কাউছার, উপ-কমিশনার (উত্তর) অতিরিক্ত ডিআইজি আজবাহার আলী শেখসহ ১৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এছাড়া মামলায় আরো ২০০-২৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
এর আগে ১৯ জুলাই পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে পুলিশের গুলিতে নগরীর বন্দরবাজারে গুলিবিদ্ধ হন সাংবাদিক এ টি এম তুরাব। পরে একটি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
মামলায় আরো যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তারা হলেন- এসএমপির কোতোয়ালি থানার সহকারী কমিশনার (এসি) মিজানুর রহমান, বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ কল্লোল গোস্বামী, কোতোয়ালি থানার সাবেক ওসি মঈন উদ্দিন, পরিদর্শক (তদন্ত) ফজলুর রহমান, এসআই কাজী রিপন আহমদ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আপ্তাব উদ্দিন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি পীযূষ কান্তি দে, সরকারি কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি ও ৩২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রুহেল আহমদ, মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সজল দাস অনিক, সাজলু লস্কর, শিবলু আহমদ, সেলিম মিয়া, আজহার, ফিরোজ ও উজ্জ্বল।