সারা বাংলা

ফাঁকা ইজতেমা মাঠ, সতর্ক অবস্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

গাজীপুরের টঙ্গীতে ইজতেমা মাঠের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে মাওলানা জুবায়ের ও মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষের পর ইজতেমা মাঠ ছেড়ে দিতে বলা হয়েছিল। এরপর পর্যায়ক্রমে মাঠ ছেড়েছেন মুসল্লিরা। বর্তমানে ইজতেমা মাঠ ফাঁকা হয়ে গেছে। তবে, সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) সরেজমিনে ইজতেমা ময়দানে গিয়ে দেখা যায়, মাঠ ফাঁকা হয়ে গেছে। শুধু সামিয়ানা ও বাঁশের খুঁটি সরানোর কাজ করছেন কিছু সংখ্যক মানুষ।

গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (ডিসি-টঙ্গী বিভাগ) এন এম নাসিরুদ্দিন বলেন, ‘‘মাঠ ছাড়তে নির্দেশনা দেওয়ার পর মুসল্লিরা চলে গেছেন। তবে, কিছু মানুষ খুঁটি ও সামিয়ানা সরানোর কাজ করছেন। কিছু সময়ের মধ্যে তারাও চলে যাবেন। তবে, আগের মতোই নিরাপত্তাবলয় তৈরি করে রেখেছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।’’

এর আগে, গতকাল দুপুরে এক গণবিজ্ঞপ্তিতে ইজতেমা মাঠে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত জনসাধারণের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয় গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ। ফলে আজও টঙ্গী স্টেশন রোড থেকে কামারপাড়া সড়কে জনসাধারণ ও যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।

গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, ১৮ ডিসেম্বর দুপুর ২টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ইজতেমা ময়দানসহ আশপাশের তিন কিলোমিটার এলাকায় জনসাধারণের জমায়েত নিষিদ্ধ করা হলো।

এ সময় দুই বা ততোধিক ব্যক্তি একত্রে ঘোরাফেরা, জমায়েত এবং কোনো মিছিল-সমাবেশ করতে পারবে না। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ আইন ২০১৮ এর ৩০ ও ৩১ ধারায় পুলিশ কমিশনারকে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এই আদেশ দেওয়া হলো।

গণবিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, নিষেধাজ্ঞার সময় কোনো প্রকার অস্ত্র, ছুরি, লাঠি, বিস্ফোরক দ্রব্য বা এ জাতীয় কোনো পদার্থ বহন করা যাবে না। এছাড়া, কোনো প্রকার লাউড স্পিকার বা এ জাতীয় কোনো যন্ত্র দিয়ে উচ্চস্বরে শব্দ করতে পারবে না।

উল্লেখ্য, বুধবার ভোররাতে বিশ্ব ইজতেমা মাঠ দখল রাখাকে কেন্দ্র করে মাওলানা জুবায়ের ও মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে জুবায়েরপন্থি তিন জন নিহত হয়েছেন বলে দাবি করা হয়। তবে, পুলিশ দুজনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছে।