জাতীয় ক্রিকেট লিগ টি-টোয়েন্টির লিগ পর্বের সবগুলো ম্যাচ জিতে পূর্ণ ১৪ পয়েন্ট নিয়ে প্লে’অফে জায়গা করে নিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিস। আজ বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪) লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে তারা চট্টগ্রামকে হারিয়েছে ১৭ রানের ব্যবধানে। তবে চট্টগ্রাম হেরেও জায়গা করে নিয়েছে প্লে’অফে।
এদিকে শেষ ম্যাচ জিতেও নেট রান রেটে পিছিয়ে থেকে প্লে’অফে যাওয়া হয়নি ঢাকা বিভাগের। আজ তারা শেষ ম্যাচে বরিশালকে হারিয়েছে ১৯ রানে। তাতে ৭ ম্যাচ থেকে চট্টগ্রামের সমান ৬ পয়েন্ট নিয়ে রান রেটে পিছিয়ে বাদ পড়তে হলো ঢাকা বিভাগকে।
এদিন সিলেট একাডেমি মাঠে শামসুর রহমান ও মার্শাল আইয়্যুবের ফিফটিতে ভর করে ঢাকা মেট্রো ৮ উইকেটে ১৫৮ রান করে। শামসুর ৪৮ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ৫৬ ও মার্শাল ৪২ বলে ৫টি চার ও ১ ছক্কায় করেন ৫১ রান। এছাড়া অধিনায়ক মোহাম্মদ নাঈম শেখ করেন ২২ রান।
বল হাতে চট্টগ্রামের আহমেদ শরীফ ৪ ওভারে ৩৯ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নেন। নাঈম হাসান ৪ ওভারে ২৩ রান দিয়ে নেন ২টি উইকেট। আর ফাহাদ হোসেন ৪ ওভারে ৩২ রান দিয়ে পকেটে পুরেন ২টি উইকেট।
জবাব দিতে নেমে সাদিকুর রহমান ও অধিনায়ক ইয়াসির আলীর ব্যাটে আশা জাগিয়েছিল চট্টগ্রাম। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নাগাল পায়নি জয়ের। ইয়াসির ৩১ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় করেন ৪৬ রান। আর সাকিদুর ২৭ বলে ৪টি চার ও ২ ছক্কায় করেন ৪৪ রান। মাহমুদুল হাসান জয় করেন ১৭ রান। বাকিদের কেউ দুই অঙ্কের কোটা ছুঁতে পারেনি। তাতে জয়ও পাওয়া হয়নি চট্টগ্রামের।
বল হাতে ঢাকা মেট্রোর রাকিবুল হাসান, আরাফাত সানী ও আমিনুল ইসলাম ২টি করে উইকেট নেন। ম্যাচসেরা হন শামসুর রহমান।
অন্যদিকে, ঢাকা বিভাগ আগে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৭৮ রান করে। অলরাউন্ডার সুমন খান সর্বোচ্চ ৩৬ রান করেন। ৩২ রান করেন জাওয়াদ আবরার। এছাড়া আরিফুল ইসলাম ২৭, নাজমুল ইসলাম ২৩ ও সাইফ হাসান করেন ১৭ রান।
বল হাতে বরিশালের রুয়েল মিয়া ৩ ওভারে ৩৬ রান দিয়ে ৪টি উইকেট নেন। জাহেদুল হক জাহেদ ৪ ওভারে ২৯ রান দিয়ে নেন ৩টি উইকেট।
রান তাড়া করতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৯ রানের বেশিষ করতে পারেনি বরিশাল। দলের হয়ে কামরুল ইসলাম ৩ চার ও ৩ ছক্কায় অপরাজিত সর্বোচ্চ ৩৯ রান করেন। সোহাগ গাজী ও সালমান হোসেন ইমন ৩০টি করে রান করেন। বাকিদের কেউ সুবিধা করতে না পারায় জয়ও পাওয়া হয়নি বরিশালের।
ঢাকার সাইফ হাসান ৩ ওভারে ১৫ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন। সুমন খান অপরাজিত ৩৬ রান করার পর বল হাতে ৪ ওভারে ২ উইকেট নেন। তাতে ম্যাচসেরাও হন তিনি।