বিপুল পরিমাণ অর্থপাচারের অভিযোগ ও দণ্ড কাঁধে ভারতে পালিয়ে গিয়ে কলকাতায় গ্রেপ্তার এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পি কে হালদার সেখানে মানি লন্ডারিং মামলায় জামিন পিকে হালদার।
তার সঙ্গে জামিন পেয়েছেন স্বপন মিস্ত্রি ও উত্তম মিস্ত্রি। শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) কলকাতার ব্যাঙ্কশাল কোর্টের অন্তর্গত নগর দায়রা আদালত প্রত্যেককে ১০ লাখ রুপি বন্ডের বিনিময়ে জামিন দেন।
উত্তম মিস্ত্রি এবং স্বপন মিস্ত্রির আইনজীবী শেখ আলী হায়দার বলেন, “পি কে হালদারসহ তিনজনকেই ৫ লাখ রুপি পি আর এবং ৫ লাখ রুপি লোকাল মোট ১০ লাখ রুপি বন্ডে মহামান্য আদালত জামিন দিয়েছেন। এই মাওলার পরবর্তী শুনানি আগামী বছরের ৯ জানুয়ারি।”
বাংলাদেশ থেকে অর্থপাচারের অভিযোগের মামলায় কলকাতায় গ্রেপ্তার হন ছয়জন। তাদের মধ্যে এর আগে জামিন পেয়েছিলেন পিকে হালদারের ভাই প্রাণেশ হালদার, ইমাম হোসেন ওরফে ইমন হালদার এবং শর্মী হালদার।
২০২২ সালের ১৪ মে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনার বৈদিক ভিলেজ থেকে হালদারদের গ্রেপ্তার করে ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এরপর থেকে দেশটিতেই বন্দি হালদাররা। প্রিভেনশন অব মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট-২০০২ অর্থাৎ অবৈধভাবে অর্থপাচার এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছিল ইডি। পি কে হালদারসহ পাঁচ পুরুষ সহযোগীকে রাখা হয়েছিল কলকাতার প্রেসিডেন্সি জেলে। নারী সহযোগী আমিনা সুলতানা ওরফে শর্মি হালদারকে রাখা হযেছিল কলকাতার আলিপুর সংশোধনাগারে।
এর আগে প্রায় ২৭৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি পি কে হালদারসহ সহযোগীদের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।
বাংলাদেশে পি কের ২২ বছরের কারাদণ্ড কলকাতায় গ্রেপ্তার ও মামলা চলার মধ্যেই বাংলাদেশে পি কের বিরুদ্ধে এক মামলায় রায় হয়। ২০২৩ সালের ৮ অক্টোবর সেই মামলা ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম তাকে ২২ বছর কারদণ্ড দেন।
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অপরাধে ১০ বছর ও অর্থ পাচারের অপরাধে ১২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে পি কে হালদারকে। এই মামলার বাকি ১৩ আসামিকে আদালত সাত বছর করে কারাদণ্ড দেন।
এই মামলার প্রধান আসামি পি কে হালদার ও অন্য ১৩ আসামির বিরুদ্ধে কানাডায় ৮০ কোটি টাকা পাচার ও প্রায় ৪২৬ কোটি টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলাটি দায়ের হয়েছিল।