রাজনৈতিক বৈরিতার কারণে ভারতীয় ক্রিকেট দল পাকিস্তান সফর করবে না তা ওপেন সিক্রেট। আইসিসি এবং এসিসি ইভেন্টে পাকিস্তান ভারতে গিয়ে খেলে এলেও নিরাপত্তা এবং রাজনৈতিক ইস্যুতে ভারত পাকিস্তান সফর করে না লম্বা সময় ধরে। এজন্য আয়োজকদের আয়োজন নিয়ে পড়তে হয় জটিলতায়।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগামী আসর নিয়ে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে শেষ ছয় মাস ধরেই চলেছে অঘোষিত লড়াই। যে লড়াইয়ের সমাধান কিছুদিন আগে দিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। আগামী দুই বছর অর্থাৎ ২০২৫ সাল থেকে ২০২৭ পর্যন্ত আইসিসির সকল ইভেন্টে ভারত ও পাকিস্তানের সব ম্যাচ নিরপেক্ষ ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে। সেটা যেমন পুরুষ দলের আয়োজনের ক্ষেত্রে, তেমনি নারী ক্রিকেট দলের আয়োজনের ক্ষেত্রেও।
এর ফলে ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে তা নিশ্চিত। পাকিস্তানই এর আয়োজন করবে, কিন্তু ভারতের ম্যাচগুলো হবে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে। এখন কেবল ফিক্সচার ঘোষণার অপেক্ষা। সবকিছু যখন আইসিসি গুছিয়ে এনেছে এবং ভারত ও পাকিস্তান দুই দল এক মেরুতে এসে পৌঁছেছে তখন ‘উদ্ভট’ প্রস্তাব দিয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার আহমেদ শেহজাদ।
তার মত, ভারত ও পাকিস্তানের উচিৎ সীমান্তে ক্রিকেট স্টেডিয়াম নির্মাণ করা। যখন দুই দলের খেলা হবে তখন গেট খুলে ক্রিকেটাররা স্টেডিয়ামে প্রবেশ করবে। ইউটিউবার নাদির আলী-র পডকাস্টে শেহজাদ বলেছেন, ‘‘সীমান্তে একটি স্টেডিয়াম তৈরি করুন। একটি গেট ভারতের দিক থেকে খুলবে। তাদের খেলোয়াড়েরা সেই গেট দিয়ে মাঠে আসবে। আমাদের খেলোয়াড়েরা যাবে এদিক (পাকিস্তানের দিকের গেট) দিয়ে।’‘
তার বিশ্বাস, এ-তেও ভারতকে খুশি করা যাবে না। পডকাস্টে শেহজাদ আরো বলেছেন, ‘‘আমার মনে হয় এরপরও বিসিসিআই ও ভারত সরকার ঝামেলা করবে। তারা বলবে, তোমাদের (পাকিস্তান) খেলোয়াড়েরা যখন মাঠের আমাদের প্রান্তে আসবে, আমরা তাদের ভিসা দেব না।’’
আট দলের এই প্রতিযোগিতা ১৯ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে ৯ মার্চ পর্যন্ত চলবে, আইসিসিকে এমনটাই খসড়া সূচিতে জানিয়েছে পাকিস্তান। খসড়া সূচি অনুযায়ী, ভারত ও পাকিস্তানকে একই গ্রুপে রাখা হয়েছে। এই গ্রুপে আছে বাংলাদেশও। চার নম্বর দলটি হলো নিউ জিল্যান্ড। এছাড়া অপর গ্রুপে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও আফগানিস্তান।
সবশেষ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি বসেছিল ইংল্যান্ডে। ২০১৭ সালে ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল পাকিস্তান।