গোপালগঞ্জে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের ক্রীড়া সম্পাদক শওকত আলী দিদার হত্যা মামলায় সদর উপজেলার উরফি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনির গাজী ও নিজড়া ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতি ফায়েকউজ্জামান মীনাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এখন পর্যন্ত এ মামলায় শতাধিক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) রাতে অভিযান চালিয়ে জেলা শহরের কাঁচা বাজার এলাকা ও নিজড়া ইউনিয়নের নিজ বাসা থেকে এদের গ্রেপ্তার করা হয়। আজ (শনিবার) গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে পাঠানো হবে।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মির সাজেদুর রহমান বলেন, “কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের ক্রীড়া সম্পাদক শওকত আলী দিদার হত্যা মামলার সন্দেহভাজন দুই আসামি অবস্থান করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। এসময় জেলা শহরের শহরের কাঁচা বাজার এলাকা থেকে সদর উপজেলার উরফি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনির গাজীকে ও নিজড়া ইউনিয়নের নিজড়া গ্রামের বাসা থেকে নিজড়া ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতি ফায়েকউজ্জামান মীনাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।”
তিনি আরো বলেন, “গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে পাঠানো হবে।”
গত ১৩ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী স্ত্রী, সন্তান ও দলীয় নেতা–কর্মীদের নিয়ে টুঙ্গিপাড়ার পাটগাতী গ্রামের নিজ বাড়িতে যাওয়ার পথে সদর উপজেলার ঘোনাপাড়া এলাকায় পৌঁছালে তার গাড়িবহরে হামলা চালানো হয়। এসময় স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা শওকত আলী দিদারকে পিটিয়ে হত্যা করে মহাসড়কের পাশে ফেলে রাখা হয়। এ ঘটনায় ১৭ সেপ্টেম্বর নিহত শওকত আলীর দিদারের স্ত্রী রাবেয়া রহমান বাদী হয়ে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও গোপালগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নাজমা আক্তারসহ ১১৭ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা ১৫০০ জনকে আসামি করে গোপালগঞ্জ সদর থানায় হত্যা মামলা করেন।