৫ আগস্ট যে পরিবর্তন এসেছে তা সবার জন্য বলে মন্তব্য করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা।
তিনি বলেন, “অধিকার সবার জন্য। অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্যই এই পরিবর্তন। প্রধান উপদেষ্টা শুধু লোক দেখানো পরিবর্তন চান না। উনি এমন পরিবর্তন চান যেই পরিবর্তন আমরা সবই নির্ভয়ে চর্চা করতে পারব।”
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) বিকেলে রাঙামাটির ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মোনঘর-এর সুর্বণজয়ন্তী অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিনের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, “এই দেশ, রাষ্ট্র ও সংবিধানের মানুষ হিসেবে আমরা যেন বলতে পারি, আমাদের অধিকারের পাশাপাশি দায়িত্বও রয়েছে। আপনারা সবাই নিজেদের দায়িত্বটুকু ঠিকভাবে পালন করবেন।”
মোনঘর-এর সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের সমাপনী অধিবেশনের আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটি রিজিয়নের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শওকত ওসমান, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ, রাঙামাটির পুলিশ সুপার ড.এস এম ফরহাদ হোসেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন মোনঘর কার্যনির্বাহী পরিষদের সহ-সভাপতি নিরুপা দেওয়ান এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন মোনঘর ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক কীর্তি নিশান চাকমা।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, মোনঘর পাহাড়ে শিক্ষার প্রসারে একটি বাতিঘরের মতো কাজ করে গেছে গত ৫০ বছর। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে পড়ালেখা করে অনেক শিক্ষার্থী আজ দেশ-বিদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে কর্মরত আছেন। পাহাড়ের যেসব দুর্গম অঞ্চলে এখনো শিক্ষার আলো পৌঁছায়নি, সেখানকার দরিদ্র ও মেধাবী শিশুরা মোনঘরে অবস্থান করে নিজেদের শিক্ষাজীবন চালিয়ে নিতে পারছে। এটি মোনঘর তথা রাঙামাটির জন্য অত্যন্ত গৌরবের। বক্তারা মোনঘরের সমৃদ্ধি কামনা করেন এবং ভবিষ্যতে মোনঘরের জন্য সর্বোচ্চ সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
আলোচনা সভা শেষে মোনঘরের বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও স্থানীয় শিল্পীবৃন্দের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।