বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, “আমরা একটা সাম্যের বাংলাদেশ গড়ে তুলবো। বৈষম্যকে নির্বাসনে পাঠাবো। আমরা মেধার স্বীকৃতি প্রদান করবো। পলিটক্রেসি নয়, মেরিটক্রেসির ভিত্তিতে জাতি গঠন করব। যুবকদেরকে শিক্ষা দিয়ে বেকারের হাত বাড়াব না, যুবকদের হাতকে কর্মীর হাতে পরিণত করব।”
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকালে জামায়াতে ইসলামী মৌলভীবাজার জেলা শাখা আয়োজিত কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মৌলভীবাজার সরকারি উচচ বিদ্যালয় মাঠে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন মৌলভীবাজার জেলা জামায়াতের আমির ইঞ্জিনিয়ার মো শাহেদ আলী।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘ফ্যাসিবাদ জাতির ঘাড়ে বসে সব অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। তারা দেশটাকে গোরস্তানে পরিনত করেছিল। এরা মাঝে মধ্যে বলত, দেশে নাকি অনাবিল শান্তি বিরাজ করছে। আমরা বলতাম, শান্তি তোমরা কায়েম করেছ কবরের মতো। যেখান থেকে হাসি কিংবা কান্নার শব্দ শোনা যায় না। কবরস্থানে কোনো মানুষ থাকে না। হাসি কান্নার আওয়াজ শোনা যায় না।”
তিনি বলেন, “গত সাড়ে ১৫ বছর আমরা দফায় দফায় অনেক আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। সেই আন্দোলনের পরিসমাপ্তি আমরা ঘটাতে পারিনি। স্বৈরাচারকে আমরা তাড়াতে পারিনি, বিদায় করতে পারিনি। আমি গর্বিত আমাদের সন্তানরা সেই কাজটি করেছেন। ইনশাআল্লাহ আগামীর বাংলাদেশ আমরা তরুণদের হাতেই তুলে দেব।”
ভারতের উদ্দেশ্যে জামায়াতের আমির বলেন, প্রতিদেশী দেশকে বলতে চাই, আপনারা শান্তিতে থাকেন। আমাদেরকেও শান্তিতে থাকতে দেন। আপনাদের পাক ঘরে (রান্নাঘর) কি পাকাবেন আমরা জিজ্ঞেস করি না। আমাদের পাক ঘরে উকি মারার চেষ্টা করবেন না। নিজেরা আয়নায় চেহারা দেখুন। আমাদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সবক দিতে হবে না।”
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে শফিকুর রহমান বলেন, চাইলে আমরা কিছু কিছু চাঁদাবাজি করতে পারতাম। কিছু দখল নিতে পারতাম। কিন্তু এটা আমাদের জন্য হারাম মনে করি। প্রিয় দেশ গড়তে জামায়াতে ইসলামীর কর্মীদের আরো ধৈর্যের পরিচয় দিতে হবে?”
তিনি বলেন, “মৌলভীবাজার জেলায় কোনো ভালো বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং এগ্রিকালচার বিশ্ববিদ্যালয় নেই। কেন? মৌলভীবাজার কি অপরাধ করেছে?”
সম্মেলন যৌথভাবে পরিচালনা করেন মৌলভীবাজার জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মুহাম্মদ ইয়ামির আলী ও সহকারী সেক্রেটারি হারুনুর রশিদ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জোবায়ের, ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, সিলেট মহানগর জামায়াতের আমির মো. ফখরুল ইসলাম ও সিলেট জেলার আমির মাওলানা হাবিুবুর রহমান প্রমুখ।