খুলনায় শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দিনভর গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে। শীতের মধ্যে সকাল থেকেই শুরু হওয়া বৃষ্টিতে বিপাকে পড়েন বিভিন্ন কাজে ঘর থেকে বাইরে বের হওয়া সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষের দুর্ভোগ বেশি ছিল। খুলনা নগরীর সড়কে আজ যানবাহনের সংখ্যাও তুলনামূলক কম দেখা গেছে।
এদিকে, বৃষ্টির পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে রবিশস্যের ক্ষতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন কৃষি কর্মকর্তারা। খুলনায় এখন চাষাবাদ হচ্ছে বোরো ধান, আলু, শর্ষে ও গমসহ বিভিন্ন ধরনের রবিশস্য।
খুলনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কাজী জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, “ঘন কুয়াশাজনিত আবহাওয়ায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয় আলু জাতীয় ফসলের। এ ধরনের ফসলে ছত্রাকের সংক্রমণ ঘটে। বর্তমানে অতিবৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে, যদি বৃষ্টির পরিমাণ বেশি হয়, তাহলে কিছু ফসলের ক্ষতি হতে পারে।”
খুলনা আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়। সেটি ঘনীভূত হয়ে পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। নিম্নচাপটি শনিবার সকালে মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ১৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৩৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ২৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরো উত্তর-উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে।
নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় 8০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিম্ন চাপকেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল আছে। এ কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
খুলনা আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ মো. মিজানুর রহমান বলেন, আগামী দুই-এক দিন খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পাবে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে।”